খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ৭ দিন স্থগিত

খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ৭ দিন স্থগিত

ফাইল ছবি

অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়ে খুলনায় সাতদিনের জন্য চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত করেছে খুলনা বিএমএ। শনিবার (৪ মার্চ) খুলনা বিএমএ ভবনে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিএমএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নগরীর শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আবদুল্লাহর ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে গত ১ মার্চ ভোর ৬টা থেকে এ কর্মবিরতি পালন করেছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন রোগীরা। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা নিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন।

রোগী ভোগান্তির বিষয়ে খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান বলেন, প্রত্যেক দিন হাসপাতালে সাধারণত ১৪০০-১৫০০ রোগী থাকছেন। নরমালি ১৫-২০ জন রোগী প্রতিদিনই মারা যায়। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে কর্মবিরতির কোনো সম্পর্ক নেই।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর শেখপাড়া এলাকার হক নার্সিং হোমের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাঈম (সাতক্ষীরা সদরে কর্মরত) ও তার সঙ্গীরা ডা. শেখ নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর করেন। এ ছাড়া তারা অপারেশন থিয়েটারেও ভাঙচুর চালান। এক মাস আগে করা তার মেয়ের অপারেশনে জটিলতার কথা বলে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকরা।


এ ঘটনায় ডা. নিশাত বাদী হয়ে এএসআই নাঈমের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।


তবে যাদের বিরুদ্ধে চিকিৎসক নিশাতের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তারা জানান ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, ওই চিকিৎসক শিশুর মাকে কুপ্রস্তাব দেন। তিনি রাজি না হওয়ায় শিশুর অপচিকিৎসা করেন এবং এতে শিশুটি তার বাম হাতের একটি আঙুল হারায়।


ওই শিশুর মা (সাতক্ষীরা পুলিশের এএসআই মো. নাঈমুজ্জামানের স্ত্রী) নুসরত আরা ময়না বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেও তিনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেয়ার পাশাপাশি সন্তানের চিকিৎসায় অবহেলা এবং তার হাতের আঙুলে পচন ধরার অভিযোগ আনেন। এ ছাড়া তিনিও সোনাডাঙ্গা থানায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।