করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ায় ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাব পরিলক্ষিত : ইউনিসেফ

করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ায় ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাব পরিলক্ষিত : ইউনিসেফ

করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ায় ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাব পরিলক্ষিত : ইউনিসেফ

করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ ছিল, সেই সব দেশের একটি হলো বাংলাদেশ। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকার সময় প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনেরও কম (১৮.৭ শতাংশ) দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। 

আজ (১৬ মার্চ) প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর স্কুল বন্ধ থাকার প্রভাব উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফ যৌথভাবে জরিপটি পরিচালনা করে।

ইউনিসেফ বাংলাদেশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আরো জানিয়েছেঃ উক্ত জরিপে দেখা যায়, করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুরা, যাদের ইন্টারনেট ও টেলিভিশন ব্যবহারের সুযোগ সীমিত এবং যাদের বাড়িতে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মত সহায়ক ডিভাইসের অভাব রয়েছে। তাছাড়া, শহর এলাকার শিশুদের (২৮.৭ শতাংশ) তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় কম সংখ্যক শিশু (১৫.৯ শতাংশ) দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণ করে।

বড় ধরনের ভৌগোলিক বৈষম্যের বিষয়টিও জরিপে উঠে এসেছে, যেখানে দেখা গেছে, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি ছিল খুলনা ও ঢাকায় (যথাক্রমে ২৩.৪ শতাংশ ও ২৩.১ শতাংশ) এবং সবচেয়ে কম ছিল ময়মনসিংহে (৫.৭ শতাংশ)। সবচেয়ে কম বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণের হার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের (নিম্ন মাধ্যমিকে ২০.৩ শতাংশ ও উচ্চ মাধ্যমিকে ২৩.৭ শতাংশ) তুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ক্ষেত্রে (১৩.১ শতাংশ) ছিল কম।

এ বিষয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিঃ শেলডন ইয়েট বলেছেন, “শিশুদের ওপর মহামারির প্রভাব দেশজুড়ে এখনও একই রকম। শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও বেশি মাত্রায় অভিঘাত সহনশীল করতে ডিজিটাল-বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।”

উল্লেখ্য, উদ্ভাবনী প্রতিকারমূলক শিক্ষাসহ পড়াশোনার ক্ষতি দূর করতে ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে।