নেতিবাচক মন্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সংকটের অভিযোগ

নেতিবাচক মন্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সংকটের অভিযোগ

নেতিবাচক মন্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সংকটের অভিযোগ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের অডিওতে বিশ্ববিদ্যালয় ও এর স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে উপাচার্যের নেতিবাচক নানা মন্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ইমেজ সংকটে পড়েছে উল্লেখ করে সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন ‘শাপলা ফোরাম’। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ফাঁস হওয়া অডিওগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেকহোল্ডারদের জন্য বিব্রতকর এবং অপমানজনক। অডিওগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক প্রকার ইমেজ সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অডিও ছড়িয়ে পড়ায় ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টি সরকারের জন্যও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে আমরা মনে করি।

তিনি আরও বলেন, অডিওতে বিশ্ববিদ্যালয় দোযখের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমনকি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস ও আর্থিক লেনদেন করেছেন মর্মে অনুমিত হয়। বিষয়গুলো শাপলা ফোরামের নীতি-আদর্শের বিরোধী হওয়ায় আমরা অডিওগুলো পর্যালোচনা করে স্ক্রিপ্ট তৈরি করে চিঠি আকারে উপাচার্যের নিকট পৌঁছে দিয়েছি। এছাড়া ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে পাঠানো হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অনতিবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে ‘এক পাক্ষিক’ দাবি করে অনাস্থা পোষণ করেন শিক্ষকরা।

সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। এসময় সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান, সদস্য অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, ড. হোসাইন মো. ফারুকী, ড. সাদেক আলী এবং ড. শাহেদ আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন ফেইক আইডি থেকে এ পর্যন্ত উপাচার্যের কথোপকোথনের অন্তত দশটি অডিও প্রচার করা হয়। এসব অডিওতে অডিওতে নিয়োগ, চাকরির প্রশ্ন, অর্থের বিনিময়ে নিয়োগসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে নেতিবাচক নানা কথা বলতে শোনা যায়। এ ঘটনায় ‘কণ্ঠ সদৃশ’ দাবি করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন উপাচার্য।