যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও সম্ভাবনা, অর্থনৈতিক কূটনীতি, আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং প্রধান শক্তিগুলোর সাথে সম্পর্কের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি চমৎকার আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের অসাধারণ সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন।পরে তিনি কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া কেন্দ্রের সিনিয়র ডিরেক্টর প্রফেসর ড. ইরফান নুরুদ্দিনের সঞ্চালনায় একটি প্রাণবন্ত প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশ নেন।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ওয়াশিংটন ডিসিতে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) আয়োজিতএক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।তিনি সভায় জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘আটলান্টিক কাউন্সিল’-এর সাউথ এশিয়া সেন্টার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবেও বক্তৃতা করেন।আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সভায় অংশ নিয়ে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট, এর নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন।আইআরআই কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে তাদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন যা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। ইনস্টিটিউটের সভাপতি ড্যানিয়েল টুইনিং সভা সঞ্চালনা করেন।

এ দু’টি অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এবং ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ভার্জিনিয়ায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি) পরিদর্শন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট হাসান কারাবুর্ক এবং চ্যান্সেলর ও প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বক্তব্য রাখেন।এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস