সুদানে থামছে না লড়াই, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৬৩

সুদানে থামছে না লড়াই, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৬৩

সংগৃহীত

সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সুদানে দুই দলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেও বাস্তবে কার্যকর নেই। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও লড়াই চলছে দেশটির সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) বাহিনীর মধ্যে। সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৩ জনে। দেশটির চিকিৎসকরা এ তথ্য দিয়েছেন।

সোমবার এক বিবৃতিতে সুদান চিকিৎসকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৫ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত চলা সহিংসতায় ৩ হাজার ৫৩১ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় চিকিৎসকদের বেসরকারি সংগঠনটি বলেছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দক্ষিণ দারফুর প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী নিয়ালা শহরে দুই সামরিক গোষ্ঠীর মধ্যে চলা সংঘর্ষে ২৮ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘চলমান সহিংসতায় সুদানে ৮৫০ জন নিহত এবং ৩,৩৯৪ জন আহত হয়েছেন।’

গতকাল সোমবার রিয়াদে সৌদি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় লিখিত যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয় সুদানের দুই পক্ষের। তাতে স্থির হয়, আগামী সাতদিন দুইপক্ষ কোনোভাবে লড়াইয়ে অংশ নেবে না। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটল না।

এর আগেও সুদানে লড়াইরত দুই পক্ষ সরকারি সেনা এবং বিদ্রোহ ঘোষণাকারী আরএসএফ-এর মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছে। কিন্তু তা কখনোই কার্যকরী হয়নি।

গতকাল সোমবার রাত থেকে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। খারতুমে একের পর এক বিমান হামলা, রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুলির শব্দ শোনা গেছে থেকে থেকেই। ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে, লিখিত চুক্তিও সুদানের লড়াই থামাতে পারল না।

সুদানের সশস্ত্র বাহিনীতে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একটি মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। ওই বিষয়টি নিয়েই দেশটিতে বর্তমানে সংঘাত চলছে।

গত তিন সপ্তাহ ধরে চলা লড়াইয়ে কয়েকশ বহু বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। উদ্বাস্তু হয়েছেন প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ। প্রতিবেশী দেশগুলিতে তারা আশ্রয় নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশটি আরও ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি