রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল না হলে তা এক সময় বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল না হলে তা এক সময় বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল না হলে তা এক সময় বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সফল না হলে তা এক সময় বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হবে।তিনি বলেন, মিয়ানমারকে অর্থনৈতিকসহ নানা ধরণের চাপ প্রয়োগ করলে প্রত্যাবাসন সফল হবে। আর এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের একার নয়, এ সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

তাজুল ইসলাম আজ মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার এবং অতি দারিদ্র বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অলিভার ডি স্কাটারের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন । এ সমযয় মন্ত্রী জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধিকে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় অবহিত করেন। 
এ সময় তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা আছে এবং তারা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। বর্তমান সরকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় মানুষের শাসন নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, সকলের জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ। অবকাঠামো উন্নয়ন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়। আর  এই সক্ষমতা অর্জনে সমাজের নানা স্তরের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, ১৯৯৬ সালে বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত। আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে বর্তমানে আমাদের অতি দারিদ্র্যের হার ৫ শতাংশ এবং দারিদ্র সীমারেখার নিচে বসবাসরত জনসংখ্যা ১৮ শতাংশ নেমে এসেছে। এক সময় আমাদের জিডিপির আকার ছিল মাত্র ৩৭ বিলিয়ন ডলার, আর এখন আমাদের জিডিপির আকার ৪৪০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার একটি দলিল।

অলিভার ডি স্কাটার বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, দারিদ্র হ্রাসসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ওপর গুরুত্বরোপ করে তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের আরো বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। 
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মকর্তা মিস সাকসী রাই এবং পরামর্শক পল ডরনান।

পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলের সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন জরুরী। কারণ নাগরিক সচেতনতাই ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক দেশের তুলনায় দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভালো উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যুই কাম্য নয়।

সূত্র : বাসস