সেরা কোচের জোড়া পুরস্কার পেলেন গার্দিওলা

সেরা কোচের জোড়া পুরস্কার পেলেন গার্দিওলা

পেপ গার্দিওলা

চলতি মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির পারফরম্যান্স নতুন করে উল্লেখ করা বলা বাহুল্য। দুর্দান্ত মৌসুম কাটানো চ্যাম্পিয়নরা এবার ট্রেবল জয়ের অপেক্ষায়। ডাগআউটে থেকে যার পেছনে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন পেপ গার্দিওলা। দলীয় সাফল্যের পর এবার তিনি ব্যক্তিগত পুরস্কারও হাতে তুলেছেন। নির্বাচিত হয়েছেন লিগ ম্যানেজার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এলএমএ) বর্ষসেরা ম্যানেজার এবং প্রিমিয়ার লিগের ‘ম্যানেজার অব দা ইয়ার’।

এ নিয়ে ৪ বার পেলেন প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ম্যানেজারের সম্মান পেলেন গার্দিওলা। এর মাধ্যমে তিনি আর্সেন ওয়েঙ্গার ও জোসে মরিনহোকে ছাড়িয়ে গেলেন। গার্দিওলার ওপরে এখন কেবল স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। রেকর্ড ১১ বার এই স্বীকৃতি পেয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কোচ।

অন্যদিকে, এলএমএ বর্ষসেরা ম্যানেজারের পুরস্কার তৃতীয় বারের মতো জিতেছেন গার্দিওলা। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন তার হাতে এই ট্রফি তুলে দেন। ইংল্যান্ডের সব ডিভিশনের কোচদের ভোটে এলএমএ’র সেরা ম্যানেজার নির্বাচন করা হয়। তিনবার এই পুরস্কার জিতে গার্দিওলা স্পর্শ করলেন ডেভিড ময়েসকে। এই দুজনের ওপরে আছেন কেবল যার নামে এই স্বীকৃতির নামকরণ করা হয়েছে, সেই ফার্গুসন (৫ বার)।

এমন অর্জনের পর ৫২ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ কোচ বিবৃতিতে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, ‘এই ট্রফি জিততে পারা অবিশ্বাস্য একটি সম্মান। আমি অবিশ্বাস্য একটি ক্লাবে আছি এবং সবার সবরকম সমর্থন ছাড়া আমি এটি করতে পারতাম না। আমরা বিশ্বের সেরা লিগে লড়াই করি এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আগামী মৌসুমেও একইরকম দেখা যাবে।’

এলএমএ সেরা ম্যানেজারের লড়াইয়ে গার্দিওলার সঙ্গে এবার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন আর্সেনালের মিকেল আর্তেতা, ব্রাইটনের রর্বার্তো ডি জার্বি, নিউক্যাসল ইউনাইটেডের এডি হাউ, বার্নলির ভিনসেন্ট কোম্পানি ও প্লিমাথ আর্গাইলের কোচ স্টিভেন শুমাখার।

এবার প্রিমিয়ার লিগের বেশির ভাগ সময়ই শিরোপার লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল আর্তেতার আর্সেনাল। শেষদিকে এসে তারা খেই হারায়। ডি জার্বির কোচিংয়ে এবার প্রিমিয়ার লিগে চমকপ্রদ পারফরম্যান্সে ষষ্ঠ হয়ে আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ব্রাইটন। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার তারা খেলবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায়। হাউয়ের কোচিংয়ে গত মৌসুমে রেলিগেশনের শঙ্কা থেকে ১১ নম্বরে উঠে লিগ শেষ করা নিউক্যাসল এবার লিগে চতুর্থ হয়ে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করে। 
 
এছাড়া কোম্পানির কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়নশিপে অসাধারণ খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রিমিয়ার লিগে উঠে যায় বার্নলি। শুমাখারের কোচিংয়ে লিগ ওয়ান জিতে নেয় প্লিমাথ। এই দুই ক্লাবই শিরোপা জেতে ১০১ পয়েন্ট নিয়ে।