আমন্ড দুধের গুণাগুণ ও রেসিপি

আমন্ড দুধের গুণাগুণ ও রেসিপি

ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য সচেতন অনেককেই নিজের ডায়েট চার্টে আমন্ডের দুধ রাখতে দেখা যায়। বহু ধরনের খাবারের সঙ্গে তারা আমন্ডের দুধকেও পুষ্টিবর্ধক হিসাবে সঙ্গে রাখেন। তবে অনেকেই মনে করেন, আমন্ড দুধ খুবই উচ্চ প্রোটিন সম্পন্ন পানীয়। ফলে সেই ভয় থেকে অনেকেই দূরে রাখেন আমন্ডের দুধকে।

তবে নিউট্রিশিয়ানিস্টরা বলছেন, ৩০ গ্রামের গমের রুটিতে যে প্রোটিন রয়েছে, সেই একই পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে এক কাপ আমন্ডের দুধে।

জেনে নিন উপকারিতা-

আমন্ডের দুধের গুণাগুণ : যারা সাধারণত নিরামিষভোজী, তাদের ক্ষেত্রে এই আমন্ডের দুধ খুবই প্রয়োজনীয়। আমন্ড বাদামের থেকে তৈরি দুধের সবচেয়ে লোভনীয় অংশ হলো, তার ক্রিমের মত মসৃণভাব। আমন্ডের পেস্টের সঙ্গে পানি মিশিয়ে তৈরি হয় এমন দুধ। এতে ভিটামিন ডি পরিপূর্ণ থাকে। এ ছাড়াও থাকে ক্যালসিয়াম, মিনারেল। তবে ডায়েটে এটি অল্প ক্যালোরির খাবার হিসাবে বিদ্যমান থাকে।

আমন্ড দুধ পানের সুবিধা : যাদের শরীরে সহজে ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য হজম হতে চায়না, তাদের জন্য এই আমন্ডের দুধ খুবই প্রয়োজনীয়। এটি পান করলে ব্লাড সুগার লেভেল কমের দিকে থাকে। ক্যালোরিও এতে অনেকটাই কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৩ থেকে ১৬টি আমন্ডে ৩.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তাদের মতে গমের তুলনায় ওজন অনুযায়ী, আমন্ডের প্রোটিনের গাঢ়ত্ব অনেক বেশি থাকলেও, এটি উচ্চ প্রোটিন সম্পন্ন খাদ্য নয়।

বিশেষজ্ঞদের টিপস : বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেগান মিল্ক হল শস্য বা বীজ জাতীয় খাবারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে দুধের মত করে তৈরি করা হয়। ফলে শস্য বা বীজের গুণের ওপর এদের উপকারিতা নির্ভর করে। তারা বলছেন, প্রতিদিনের ডায়েটে যদি দুধ নাও থাকে, তাহলে এই ধরনের পানীয় খুবই উপকারি। চিনি না মিশিয়ে এই ধরনের দুধ পান অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলে জানান তারা।

সহজেই আমন্ড মিল্ক তৈরির রেসিপি জেনে নিন-

প্রথমেই এক কাপ বা ২৫০ গ্রাম আমন্ড নিন। তার সঙ্গে নেবেন ৫ কাপ বা ১.২৫ লিটার পানি। তার আগে পানিতে আমন্ড ভিজিয়ে রাখতে হবে। অন্তত ৮ ঘন্টা পানিতে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে সারারাত ভিজিয়ে রাখলেই হবে। এবার আমন্ডগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিন। আমন্ডের খোসায় ট্যানিন থাকে। যা দেহে পুষ্টি শোষণ করতে বাধা দেয়। আমন্ড এমনি খাওয়ার সময়েও খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার ওই আমন্ড একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে তার সঙ্গে এক লিটার পানি দিয়ে ব্লেন্ড করুন। এবার সেই মিশ্রণ একটি ছাঁকনিতে ছেঁকে নিলেই তৈরি আমন্ড মিল্ক।