এক যুগে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

এক যুগে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

সংগৃহীত

মূল্যস্ফীতি নিয়ে আলোচনা আর আশঙ্কার মধ্যেই অর্থনীতির এ গুরুত্বপূর্ণ সূচক পৌঁছে গেছে ১০ শতাংশের কাছাকাছি। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সোমবার হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে মে মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে, যা এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

এর মানে হল, গত বছরের মে মাসে দেশে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, সেই পণ্য বা সেবা পেতে এ বছর মে মাসে ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সা ব্যয় করতে হয়েছে।

এর আগে ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে এর চেয়ে বেশি ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। তারপর আর কখনও এই হার ১০ শতাংশ ছাড়ায়নি।

মে মাসের মূল্যস্ফীতির এই হার গত বছরের মে মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৫২ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। গত বছরের মে মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্য ও মজুরি উইংয়ের পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, “তথ্য বিশ্লেষণে আমরা দেখেছি, খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উভয় খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বিশেষ করে আমদানি পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বেশি মূল্যস্ফীতি বাড়াচ্ছে।”

পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উভয় খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্য উপখাতে (পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে) মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে হয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

আগের মাস এপ্রিলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য উপখাতে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল।