এক ছাত্রীর মৃত্যুর পর একই স্কুলের আরও ২৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ

এক ছাত্রীর মৃত্যুর পর একই স্কুলের আরও ২৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ

সংগৃহিত ছবি।

মঙ্গলবার (৬ জুন) কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর সুবল-আফতাব স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা আক্তার (১১) নামে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে।  এই ঘটনার পরের দিন বুধবার (৭ জুন) একই স্কুলের ২৬ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।

শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার ঘটনায় বুধবার (৭ জুন) এর অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, মঙ্গলবার (৬ জুন) এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে বুধবার (৭ জুন) শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

স্কুল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল ১০টায় স্কুলের প্রথম ক্লাস শুরু হয়।  প্রথম ক্লাসের শেষ পর্যায়ে হাবিবার মা নাস্তা নিয়ে স্কুলে আসেন।  সকাল থেকে মেয়ে কিছু খায়নি বলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি।  নাস্তায় রুটি ও তালের শাঁস ছিল।  মা চলে যাবার পর ক্লাস শেষ হয়।  এসময় হাবিবা রুটি না খেয়ে শুধুমাত্র তালের শাঁস খায়।  একটু পর বমি শুরু হয় তার।  একপর্যায়ে অচেতন হয়ে যায় হাবিবা।  পরে তাকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।  সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

হাবিবার মা মাকসুদা আক্তার বলেন, আমি মেয়েকে তালের শাঁস ও রুটি দিয়ে ১২টার দিকে বাসায় ফিরি।  ১০ মিনিট পর শুনি আমার রাজকন্যা অসুস্থ।  হাসপাতালে নিয়ে দেখি আমার রাজকন্যাটা নাই।

তিনি বলেন, এর আগে আমার মেয়ের অন্য কোনো অসুস্থতা ছিল না।  

বুধবার (৭ জুন)  স্কুলটিতে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা ছিল।  এদিন শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার পর থেকেই একে একে অসুস্থ হতে থাকে।  বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলে দ্রুত শিক্ষার্থীদের দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান জানান, একজন শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যান্যরাও ভয় ও আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ে।  ২২ শিক্ষার্থী চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছে। চারজন হাসপাতালে ভর্তি আছে।  

মঙ্গলবার হাবিবার মৃত্যুর বিষয়ে তিনি জানান, আমরা তাকে অচেতন অবস্থায় পাই।  তাকে পরীক্ষা করার মতো পর্যাপ্ত সুযোগ ছিল না।  ফুড পয়জনিং বা হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।