সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত মোড় অবরোধ

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত মোড় অবরোধ

সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হয়রানি বন্ধ, ক্লাস, ইনকোর্স, টেস্ট পরীক্ষায় অব্যবস্থাপনা, শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট নিরসনসহ সাত দফা দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২০ জুন) বেলা ১২টার কিছু সময় আগে নীলক্ষেত মোড়ে এসে অবস্থান নেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রয়েছে। এতে নীলক্ষেত ও আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং নিজেদের দাবি মেনে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। অনার্স-মাস্টার্সের যেকোনো কোর্সে অনৈতিকভাবে তাদের ফেল দেখিয়ে বছরের পর বছর হয়রানি করছে। তার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে চরম আমলাতন্ত্রের চর্চা চলে।

শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

২. যেসব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন নন- প্রমোটেড তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।

৩. সব বিষয়ে পাস করার পরও একটা স্টুডেন্ট সিজিপিএ শর্তের জন্য নন প্রোমোটেড হচ্ছেন। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।

৪. বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

৫. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে/কারা? কোথায় তাদের সমস্যাগুলো উপস্থাপন করবে, তা ঠিক করে দিতে হবে।

৬. একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

৭. শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।