বঙ্গবাজারে পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবেদন ২৫ জুলাই

বঙ্গবাজারে পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবেদন ২৫ জুলাই

বঙ্গবাজারে পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবেদন ২৫ জুলাই

বঙ্গবাজারে আগুন নেভানোর সময় পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। সে কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেন। এরআগে ৬ এপ্রিল বংশাল থানার এসআই ইস্রাফিল হাওলাদার বাদি হয়ে অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে আগুন লেগেছে। আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরসহ অন্যান্য ফায়ার সার্ভিসের অনেকগুলি ইউনিট এ মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে লাগা আগুন আশেপাশে মার্কেটসহ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর এনেক্স ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা এমন ছিল যে প্রচুর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ফায়ার সার্ভিস পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেছিল না।

অধিকাংশ দোকান পাট পুড়ে যাওয়ায় অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩শ’ জন দুষ্কৃতিকারী মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ বেআইনীভাবে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটের বিপরীত পার্শ্বে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে হঠাৎ করেই ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিসহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়।

এসময় ঘটনাস্থলে থাকা এডিসি (চকবাজার জোন) এর নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করা হয়। বাদি ও তার সহযোগীরা সরকারী সম্পত্তি রক্ষার্থে দৃস্কৃতিকারীদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে আসামীরা সরকারী কাজে বাধা দেয় ও কর্তব্যরত পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, লোহার রড ও লাটিসোটা দিয়ে এলোপাতারীভাবে আঘাত করে বাদিকে গুরুতর আহত এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এসআই নিরস্ত্র মো. রুবেল খানকে জখম করে।

সূত্র : বাসস