ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অ্যাশেজ শুরু অস্ট্রেলিয়ার

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অ্যাশেজ শুরু অস্ট্রেলিয়ার

সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৮ উইকেটে ২৪৪, জিততে হলে দরকার ৩৭। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দিলেন নাথান লিয়ন। আহা সেই ক্যাচটা! শেষ পর্যন্ত যে বড় আক্ষেপ হয়েই রইলো ইংল্যান্ডের।

মাথার ওপর দিয়ে যাওয়া বল অনেকটা দৌড়ে গিয়ে ডান হাতে প্রায় জমিয়ে ফেলেছিলেন বেন স্টোকস। কিন্তু তাল সামলাতে না পেরে ফেলে দেন বলটি। বলা যায়, ফেলে দেন পাঁচদিনের পরিশ্রমটাই। তখন ২ রানে থাকা লিয়ন শেষ পর্যন্ত প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছেড়েছেন। কামিন্স ৪৪ আর লিয়ন অপরাজিত থাকেন ১৬ রানে।

এজবাস্টনে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর শেষ মুহূর্তে এসে ২ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া যখন জয় তুলে নেয়, দিনের খেলা কেবল সাড়ে চার ওভারের মতো বাকি।

শেষ দিনে জিততে হলে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১৭৪ রান, ইংল্যান্ডের ৭ উইকেট। পঞ্চম দিনের সকালেই শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। রোমাঞ্চকর টেস্টে সমাপ্তিটা বৃষ্টির হাতেই হবে, মনে হচ্ছিল তখন। পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা প্রায় দেড় সেশন বৃষ্টির পেটে চলে যায়। পরে বৃষ্টি বন্ধ হলে মাঠ প্রস্তুত হতে হতে যতটা সময় গেছে, বাকি থাকে দিনের খেলা ৬৭ ওভারের মতো।

২৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ৩৪ রান নিয়ে ক্রিজে ছিলেন উসমান খাজা, সঙ্গে নাইটওয়াচম্যান স্কট বোল্যান্ড ১৩ রানে।

বৃষ্টি বন্ধ হলে পঞ্চম দিনের খেলা শুরুর পর ১৪৫ রানে ৫টি উইকেট তুলে নেয় ইংল্যান্ড। উসমান খাজা একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন। দলীয় ২০৯ রানের মাথায় তাকে বোল্ড করে সাজঘরে পথ দেখান বেন স্টোকস। ১৯৭ বল খেলে টেস্ট মেজাজে ৬৫ রান করেন খাজা। খাজা লড়লেও ২০৯ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়াই ছিল বিপদে। ৭২ রান দরকার, হাতে শেষ ৩ উইকেট নেই। ২০ রান করে অ্যালেক্স ক্যারে ফিরলে ইংল্যান্ডের জয় যেন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

কে জানতো, অষ্টম উইকেটে এমন প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন প্যাট কামিন্স আর নাথান লিয়ন। ১২ ওভারে তাদের ৫৫ রানের ম্যাচ জেতানো জুটি শেষ পর্যন্ত গড়ে দিয়েছে টেস্টের ভাগ্য। প্রথম ইনিংসে জো রুটের অপরাজিত সেঞ্চুরির পর ৮ উইকেটে ৩৯৩ রান তুলে চমক জাগানো ইনিংস ঘোষণা করেছিল ইংল্যান্ড। সেটাই কি স্বাগতিকদের কাল হলো?

অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে উসমান খাজার সেঞ্চুরির পরও ৩৮৬ রানে গুটিয়ে গেলে ৭ রানের লিড পেয়েছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা অলআউট হয় ২৭৩ রানে।