রিয়ালেই থাকছেন টনি ক্রুস

রিয়ালেই থাকছেন টনি ক্রুস

টনি ক্রুস

২০২২-২৩ মৌসুম শেষে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়েছেন দলটির আক্রমণের প্রাণ ভোমরা করিম বেনজেমা। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দল ছাড়ার পর তাঁর হাতেই ন্যস্ত হয়েছিল ক্লাবের হয়ে গোল করার মূল দায়িত্ব। কিন্তু ফরাসি এ তারকা হঠাত করেই ঘোষণা দেন বিদায়ের, যোগ দেন সৌদি ক্লাব আল ইত্তিহাদে। এদিকে স্প্যানিশ জায়ান্টদের মাঝমাঠের দুই গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ লুকা মদ্রিচ এবং টনি ক্রুসও আছেন ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে। তাই তাদের আরও এক মৌসুম ক্লাবে থাকার নিশ্চয়তা ছিল না। তবে ক্রুসকে নিয়ে এ অনিশ্চয়তার অবসান হয়েছে।

জার্মান মিডফিল্ডার ক্রুস ২০১৪ সালে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে যোগ দেন ইউরোপের শ্রেষ্ঠ ক্লাব হিসেবে বিবেচিত রিয়াল মাদ্রিদে। এরপর খুব দ্রুতই দলের মাঝমাঠের মধ্যমণি হয়ে ওঠেন তিনি। যে কোনও প্রতিযোগীতায় তাঁর উপর নির্ভর করে মাদ্রিদ। ফলে ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুতবলারও হয়ে ওঠেন তিনি। তবে ৩৩ বছর বয়সী এ ফুটবলার আছেন ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে। তাই নিজের প্রিয় ক্লাবের হয়ে আরও এক মৌসুম খেলবেন কিনা তা নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা।

তবে রিয়াল মাদ্রিদে আরও এক মৌসুম থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রুস। মাদ্রিদের সাথে নতুন করে এ নিয়ে চুক্তিও করেছেন তিনি। বুধবার ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়, বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রিয়াল মাদ্রিদ সিএফ ও টনি ক্রুস খেলোয়াড়ি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সম্মতি দিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ক্লাবে থাকছেন তিনি।’

জার্মান এ মিডফিল্ডার সবসময় বলেছেন, মাদ্রিদের হয়েই নিজের ক্যারিয়ার শেষ করতে চান তিনি। তবে সেটা এ মৌসুমেই নাকি আরও এক মৌসুম খেলে তা ঠিক করতে কিছুটা সময় নিয়েছেন তিনি। গত এক দশক ধরে স্প্যানিশ এ দলটির হয়ে গুরত্বপূর্ণ অনেক শিরোপা জিতেছেন ক্রুস।

গত ৯ মৌসুমে গ্যালাক্টিকোদের হয়ে ২০ টি শিরোপা জিতেছেন ক্রুস। ২০১৪ সালে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে যোগ দিয়ে খেলেছেন ৪১৭ ম্যাচ। চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার সাথে পাঁচটি ক্লাব বিশ্বকাপ, চারটি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ, তিনটি লা লিগা, একটি কোপা দেল রে ও তিনটি স্প্যানিশ সুপার কাপের ট্রফির স্বাদ পেয়েছেন জার্মানির ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডার।