স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা: স্বামী-সতীনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা: স্বামী-সতীনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীতে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামী ও নিহতের সতীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরা এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু।

দণ্ডপ্রাপ্ত বারেক লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ হায়দার আলী বেপারী বাড়ির মো. বদু মিয়ার ছেলে এবং লাকী বেগম আব্দুল বারেকের দ্বিতীয় স্ত্রী। রায়ের পর দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল বারেক ও লাকী বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু বলেন, আদালত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে রহিমা বেগম ওরেফে সুমির সঙ্গে আসামি আব্দুল বারেকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আসামিরা সুমিকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো। বিয়ের দেড় বছর পর ওই দম্পতির ঘরে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বাচ্চা হওয়ার কিছুদিন পর তার সতীন লাকী বেগম সুমিকে গরম পানি মেরে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর সুমিকে তার বোনের বাসায় রেখে আসে। তার কিছুদিন পর সুমিকে আর কোনো রকম অত্যাচার করবে না বলে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যায়।

২০১১ সালের ২৫ মার্চ রাতে আসামিরা আব্দুল বারেকের বাসায় ছিল। পরের দিন ২৬ মার্চ সুমিকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সুমি তার বোনকে ফোন করে জানায় তারা গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা বললেও তারা সবাই ঘরে আছে এবং তাকে ঘরের বাইরে যেতে দিচ্ছে না— বলে মোবাইল ফোন কেটে দেয়। পরে ওইদিন দুপুরে খবর পায় সুমি ও তার ছেলে গলায় কাপড় দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং আসামি আব্দুল বারেক ও তার স্ত্রী লাকী বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত সুমির বোন বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে পাহাড়তলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।