বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না বাসের টিকিট

বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না বাসের টিকিট

সংগৃহীত

ঈদুল আযহার আর মাত্র দুদিন বাকি। মঙ্গলবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু। তাই অনেকে আজ অফিস শেষ করে বাড়ি ফিরছেন। অনেকে আগে থেকেই বাসের টিকিট সংগ্রহ করেছে। আবার অনেকে আজ কাউন্টারে এসে টিকিটের জন্য নাকানিচুবানি খাচ্ছে। নির্ধারিত মূল্যের বেশি টাকা দিয়েও অনেকে টিকিট না পেয়ে বিকল্প পদ্ধতিতে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছে।

সোমবার গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। এরমধ্যে আবার দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও অনেকে বাসের টিকিট পাচ্ছেন না।

মেহেদী হাসান রাজধানীর মিরপুরে থাকেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে সাতক্ষীরা যাবেন। তাই বিকেলে গাবতলী বাস টার্মিনালে এসে পৌঁছান। প্রায় এক ঘণ্টা টিকিটের জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরে টিকিট না পেলেও এখনো চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবো। এজন্য অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গাবতলী এসেছি। এক ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেও টিকিট সংগ্রহ করতে পারিনি। আর কিছুক্ষণ চেষ্টা করবো, না হলে ফেরি পার হয়ে ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাবো।

ধানমন্ডি থাকেন আব্দুল্লা আল মাসুম। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। আগামীকাল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় আজই চাপাইনবাগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। গাবতলীতে দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি তিনি।

মাসুম বলেন, গাবতলীতে টিকিট পাওয়া যাবে না আমি বুঝতে পারিনি। বিকেলে এখানে এসে দেখি মানুষের অনেক ভিড়। কাউন্টারগুলোতে চেষ্টা করেও টিকিট ম্যানেজ করতে পারলাম না। আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবো, টিকিট না পেলে ভেঙে ভেঙে কাল সকালের দিকে বাড়ি যাবো।

এমআর এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার আসাদ বলেন, ঈদের বিশেষ টিকিট ১২ জুন থেকে বিক্রি শুরু হয়। এরই মধ্যে ২ জুলাই পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন যাত্রীর চাপ কিছুটা কম থাকলেও আজকে সোমবার বিকেল থেকে চাপ বেড়েছে। ফলে অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। যারা আগে থেকে যোগাযোগ করেছেন, তাদের জন্য কিছু টিকিট রাখা হয়েছে।

ঢাকা সাতক্ষীরা রোডে চলাচলকারী সাতক্ষীরা লাইনের ম্যানেজার বলেন, ঈদের অধিকাংশ বিশেষ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। কিছু টিকিট আছে যেগুলো এখন বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ঈদযাত্রা হিসেবে অন্যান্য দিনের চাইতে আজ যাত্রীর চাপ বেড়ে গেছে। মঙ্গলবার যেহেতু ঈদের ছুটি শুরু হবে, তাই অনেকে আজ রাতে বাড়ি যাচ্ছেন।

এদিকে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় কোনো কোনো বাস কাউন্টারে টিকিটের বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যশোরের যাত্রী রবিউল বলেন, অন্য সময়ে ৫৫০ টাকা টিকিট রাখলেও বর্তমানে তা ৮০০ টাকা নিচ্ছেন পরিবহন কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতারা।

তিনি বলেন, বাড়ি যাওয়াটা অনেক জরুরি। এ কারণে বাড়তি দাম দিয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে হয়েছে। অনেক অনুরোধ করলেও দাম কমানো হয়নি।