বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে কি যাবে পাকিস্তান?

একদিনের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে কি আদৌ আসবে পাকিস্তান? এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। আর তার মাঝেই ইন্টার প্রোভিনসিয়াল কোঅর্ডিনেশন (ক্রীড়া) মন্ত্রণালয়ের এক অফিসিয়াল সূত্রের মতে, আসন্ন আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য প্রতিবেশী দেশে বাবর আজমদের পাঠানোর অনুমোদন দেয়ার আগে ভেন্যুগুলো মূল্যায়ন করতে পাকিস্তান একটি নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।

ঈদের ছুটির পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হবে। তার পরেই পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলের সফরের সময় সরকার নির্ধারণ করবে। ওই সূত্রের দাবি, ‘নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল পিসিবির প্রতিনিধি হয়ে যাবে। পাকিস্তান যেখানে যেখানে খেলবে, সেই ভেন্যুগুলো এবং বিশ্বকাপে তাদের জন্য করা নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যবস্থা পরিদর্শন করবে।’

প্রতিনিধি দলটি চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, কলকাতা ও আহমদাবাদে বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিদর্শন করবে বলে শোনা যাচ্ছে। আহমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১৫ অক্টোবর বহু প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আয়োজন করার কথা রয়েছে। সেই সূত্র বলেছেন, ‘যেকোনো কারণে ভারত সফরের আগে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয় পিসিবি-কে। আর সেই অনুমতি নেয়ার আগে একটি প্রতিনিধি দল ভারতে পাঠানো হয়ে থাকে।’

তিনি যোগ করেছেন, ‘প্রতিনিধি দল সেখানে ভারতে এসে বিসিসিআই কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করবে এবং আমাদের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, ভক্ত এবং মিডিয়া, যারা টুর্নামেন্টে যাবে, তাদের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা এবং পরিদর্শন করবে।’

তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, প্রতিনিধিদল যদি মনে করে যে, পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত স্থানের পরিবর্তে অন্য কোনো ভেন্যুতে খেলা হলে ভালো হবে, তা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করবে। তার মতে, ‘প্রতিনিধি দলের কোনো উদ্বেগ থাকলে পিসিবি রিপোর্টটি আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের সঙ্গে শেয়ার করবে।’

পিসিবির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, শেষ বার যখন পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতে গিয়েছিল, তখন সরকার ভেন্যুগুলি পরিদর্শনের জন্য একটি যৌথ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল। পিসিবি-র সূত্র আবার বলে দিয়েছেন, ‘প্রতিনিধিদের সুপারিশেই ভারতের বিপক্ষে ধর্মশালায় পাকিস্তানের ম্যাচটি কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।’

সেই সূত্র আরো দাবি করেছেন যে, পাকিস্তানের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের চূড়ান্ত নিশ্চিতকরণ তখনই ঘোষণা করা হবে, যখন সরকার পিসিবিকে ছাড়পত্র দেবে। তিনি বলরো দিয়েছেন, ‘এটি অস্বাভাবিক নয় এবং এটি ভারতে সমস্ত সফরের জন্য আদর্শ পদ্ধতি। এমন কী অন্যান্য খেলার ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট জাতীয় ফেডারেশনগুলোকে তাদের দল যেকোনো প্রতিযোগিতার জন্য ভারতে পাঠাতে হলে, সরকারের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে।’

পাকিস্তান হকি ফেডারেশন বর্তমানে চেন্নাইয়ে অগস্টে অনুষ্ঠিত হতে চলা এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণের জন্য তাদের দল পাঠানোর ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে। পাকিস্তানের জাতীয় ফুটবল দল সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু সরকারি সংস্থার কাছ থেকে তারা শেষ মুহূর্তের অনুমোদন পেয়েছে।

ওডিআই বিশ্বকাপটি ভারতের দশটি শহরে অনুষ্ঠিত হবে এবং ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এই চলবে। চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস