সাধারণ মানুষকে হাটবাজারে যেতে নিরুৎসাহী করতে কাঁচা তরকারির গাড়ি যাচ্ছে অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি

সাধারণ মানুষকে হাটবাজারে যেতে নিরুৎসাহী করতে কাঁচা তরকারির গাড়ি যাচ্ছে অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি

পাবনা প্রতিনিধি

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় করোনাভাইরাসের একমাত্র ওষুধ। তাই বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে সচেতনতার কাজ করে যাচ্ছেন। যাতে করে জনসমাগম থেকে মানুষ দূরে থাকতে পারে।

এরই পদক্ষেপ হিসেবে পাবনার আটঘরিয়ায় সাধারন মানুষকে হাটবাজারে যেতে নিরুৎসাহী করতে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাঁচাতরকারি ও শাকসবজির গাড়িযাচ্ছে অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি। এতে দারুন খুশি অসহায় মানুষ। চেয়ারম্যানের বক্তব্য চাল তোনিজেরা সহ অনেকেই দিচ্ছেন, সাথে মানুষের প্রয়োজন বিবেচনায় তার এমন উদ্যোগ। মানুষকে তো বাঁচাতে হবে।

আটঘরিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে কাঁচা তরকারি ও শাক সবজির ট্রাক নিয়ে ছুঁটে চলেছেন দেশের সর্বকনিষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম। সরকারি ভাবে ও বেসরকারি ভাবে অসহায় মানুষদের মাঝে অনেকেই এসব অসহায় মানুষ কে চাল দিচ্ছেন। এরপরও এসব অসহায় মানুষ যাচ্ছেন হাটবাজারে, বাড়ছে ভীড়। মানুষমূলত : শাকসবজি কখনও কখনও কাঁচা তরকারি কেনার জন্য ছুঁটে যাচ্ছেন সেখানে। মানুষ যাতে বাজার মুখি না হয় এবং সামাজিক ভাবে যেন ভীড়না বাড়েএ জন্যই তার এমন চেষ্টা। উপজেলার নসিংঘরিয়া,কয়রাবাড়ি,পুস্তিগাছা, গোপালপুর, কাজিরহাটসহ বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরছে উপজেলা চেয়ারম্যানের এই কাঁচা তরকারি ও শাক সবজির গাড়িযাচ্ছে অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি। সামাজিক দুরত্ব রেখে বিতরণ করা হচ্ছে এসব খাবার সামগ্রী। তার বক্তব্য মানুষ যেন কোন ভাবেই হাটবাজারে গিয়ে ভীড় না করে। হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমে গেছেন তরুন এই চেয়ারম্যান। বাড়ির ওপরে চেয়ারম্যানের এমন শাকসবজি ও তরকারির গাড়ি দেখে খুশি হয়েছে গ্রামের অসহায় সরল প্রাণ মানুষ। তাদের কে একটা প্যাকেটে ভরে দেয়া হচ্ছে আলু, বেগুন, পেঁয়াজ, মরিচ, ঢেড়শ, করল্লা, মিষ্টিকুমরা,লাউ, পেঁপে,পালংশাকসহ নানা ধরনের সবজি। এসব পেয়ে তাদের অনুভুতিতে গ্রামের অসহায় মানুষরা জানান, চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগে তারা আনন্দিত হয়েছেন। এমন বিপদের মুহুর্তে তাদের পাশে এই তরকারির গাড়ি আস্বস্ত করেছে তাদের।

এই জন প্রতিনিধি আরো জানান,মানুষের ঘরেচাল আছে। সরকারী ও বেসরকারি পর্যায়ে অনেকেই চাল দিচ্ছেন। কিন্তু একভাবে তো খালি ভাত খাওয়া যায়না। তাদের ভেতরে কাজ করেকিছু শাকসবজি বা তরকারি হলে ভালো হতো। এজন্যই অনেকেই ছুঁটে যাচ্ছেন হাটবাজারে। বাড়ছে ভীড়। সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকছেনা কোন কোনসময়ে। এজন্যই তিনি হাটবাজারে মানুষকে যেতে নিরুৎসাহী করার লক্ষ্যে এই কার্যক্রম শুরু করেছেন। প্রতিটি গ্রামের মানুষের কাছে তিনিএটি পৌঁছে দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। সাথে এও বলেন, আমার এই চেষ্টা দেখে যদি আরো অনেকে এমন করে তাহলে তো ভালো হবে অসহায় মানুষের জন্য।