এশিয়ায় ন্যাটোর বিস্তার ঠেকাতে চীনের প্রতিজ্ঞা

এশিয়ায় ন্যাটোর বিস্তার ঠেকাতে চীনের প্রতিজ্ঞা

সংগৃহীত

সামরিক জোট ন্যাটোর এশিয়া মহাদেশে বিস্তারের প্রচেষ্টা শক্ত হাতে মোকাবিলার প্রতিজ্ঞা করেছে চীন। ন্যাটোর প্রজ্ঞাপনে চীনকে জোটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং এ কথা জানায়। মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী ন্যাটোর সম্মেলনে মঙ্গলবার ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে চীনকে জোটটির স্বার্থ এবং নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।

কড়া ভাষায় লেখা সেই প্রজ্ঞাপনে ন্যাটো নেতারা বলেছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন তার বিবৃত উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং জবরদস্তিমূলক নীতি দিয়ে জোটের স্বার্থ, নিরাপত্তা এবং মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন বিশ্বে নিজের পদচারণা এবং অবস্থান নিশ্চিত করতে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সামরিক খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কৌশল নিয়েছে। বিপরীতে দেশটি তার কৌশল, উদ্দেশ্য এবং সামরিক কাঠামোর বিষয়ে সবসময়ই অস্পষ্ট তথ্য হাজির করেছে।

প্রজ্ঞাপনে চীনকে নিয়ে মোট ৯০টি পয়েন্ট তুলে ধরা হয়েছে।

ন্যাটোর প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ন্যাটো জোট এবং এর মিত্রদের লক্ষ্য করে নোংরা হাইব্রিড এবং সাইবার অপারেশন চালাচ্ছে। দ্বান্দ্বিক বক্তব্য এবং ভুল তথ্য ব্যবহার করে জোট এবং মিত্রদের নিরাপত্তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।

প্রজ্ঞাপনে ন্যাটো বলেছে, চীন ও রাশিয়া একটি গভীর কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ জড়িত এবং দেশ দুটি ‘নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে বাতিল করার জন্য পরস্পরকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টায় জড়িত।

প্রজ্ঞাপনে ন্যাটোর নেতারা চীনকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচ দেশের একটি ও ভেটোপ্রদানকারী দেশ হিসেবে গঠনমূলক’ ভূমিকা পালনের এবং রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী যুদ্ধের নিন্দা করার আহ্বান জানান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ন্যাটোর প্রজ্ঞাপনের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ন্যাটো ইচ্ছা করেই চীনের অবস্থানকে বিনষ্ট এবং সজ্ঞানে চীনকে অপমানিত করার চেষ্টা করছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের চীনা মিশন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা দৃঢ়ভাবে এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করছি।

চীন ও উত্তর কোরিয়ার ইস্যুতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসগারীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ছে। এর মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। বিষয়টি চীন এবং উত্তর কোরিয়ার উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।