ঢাকার সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

ঢাকার সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

ঢাকার সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর রাজধানী ঢাকার সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেনের আশ্বাস এবং তেজগাঁওয়ের এডিসি হাফিজ আল ফারুকের অনুরোধে অস্থায়ী শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।রোববার বিকেল ৩টার দিকে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে রাজধানী কাওরানবাজারে এফডিসি রেলগেট এলাকায় রেললাইন অবরোধ করেন রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। চাকরি স্থায়ীকরণ ও আউটসোর্সিংয়ের প্রতিবাদে রেললাইনে অবস্থান নেন তারা।

এতে রাজধানীর সাথে সারাদেশের রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চার ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিকে রেল কর্তৃপক্ষ কমলাপুর স্টেশন থেকে যেসব ট্রেন ছেড়ে যেতে বিলম্ব হচ্ছে, সেসব ট্রেনের যাত্রীদের কাউন্টারে টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নেয়ার অনুরোধ জানায়।

দুপুর আড়াইটার দিকে রেল কর্মকর্তাদের আশ্বাসে শ্রমিকরা অবরোধ সাময়িকভাবে তুলে নেয়। রেলভবনে রেলমন্ত্রীর সাথে আলোচনার আশ্বাসে লাইন ছেড়ে শ্রমিকরা রেলভবনে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

শ্রমিকদের আশ্বস্ত করতে গিয়ে জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল জুন মাসের পর আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ দেয়ার। সেই আউটসোর্সিং কোম্পানির জন্য টেন্ডার ডকুমেন্টে আমরা শর্ত দিয়ে দিয়েছি আমরা অভিজ্ঞ লোক চাই। আপনারা যারা এখানে আন্দোলন করছেন তাদের আমরা অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট দেব। একইসাথে আমরা আউটসোর্সিং কোম্পানিকে বলব যেন আপনাদের তারা নিয়োগ দেয়। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আমরা আপনাদের রেলওয়েতে নিয়োগ দেব, এটা আমাদের ইচ্ছা ও বাসনা।

তিনি বলেন, আমরা আশা করব আপনারা ট্রেন আটকে মানুষকে হয়রানি করছেন সেখান থেকে সরে আসবেন। আমরা আইনের ভেতর থেকে আপনাদের সর্বোত্তম সহযোগিতা করব।

এডিসি হাফিজ আল ফারুক শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, আপনাদের (আন্দোলনকারী) সাথে কথা বলতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জিএম এখানে এসেছেন। তিনি বলেছেন, রেলে আউটসোর্সিংয়ে লোকবল নিয়োগের সময় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দেবেন। পাশাপাশি আগে যারা অস্থায়ীভাবে চাকরি করতেন তাদেরও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট দেয়া হবে। এটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের অফিসে বসে করতে হবে। এটা রেল লাইনে বসে করার জিনিস নয়।

তিনি বলেন, আজকে আপনারা যে সকাল থেকে রেল লাইনটা বন্ধ করে রেখেছেন, এখানে একজন মুমূর্ষ রোগী থাকতে পারে, একজন চাকরিজীবী থাকতে পারে। মানুষের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আমরা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনাদের বসতে দেব। এরপর আমাদের যেকোনোভাবেই হোক আপনাদের সরাতে হবে। তাই এখানে আন্দোলন না করে, আপনারা আলোচনা করুন।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে সকাল ১০টার পর কমলাপুর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়ায় ৩টার দিকে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।