সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপরে

সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপরে

সংগৃহীত

বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার তজুমুদ্দিন পয়েন্টে সুমরা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.২২ মিটার) ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। 

রবিবার এই দুই নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছিল বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। অন্যান্য নদীর পানিও আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

সোমবার সন্ধ্যায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার দুপুরে তজুমুদ্দিন পয়েন্টে সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.২২ মিটার) ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। 

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেতুলিয়া নদীর পানি ২৭ বিপৎসীমার সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বরিশালের হিজলা পয়েন্টে ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বিষখালী নদীর ৪টি পয়েন্টে যথাক্রমে ঝালকাঠীতে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বেতাগী পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বরগুনা পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও পাথরঘাটা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

পিরোজপুর পয়েন্টে বলেশ্বর নদীর পানি সোমবার দুপুর ১টায় ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি বেলা সাড়ে ১২টায় প্রবাহিত হয়েছে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে। 

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, ভারতে এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা হচ্ছে। এ কারণে দক্ষিণাঞ্চলের নদীর পানি অনেক বেড়েছে। বর্তমানে নদীর জোয়ার ভাটার ব্যবধান খুবই কম। আগামী অমাবশ্যা পর্যন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।