পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশ ৫ ধাপ এগিয়েছে

পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশ ৫ ধাপ এগিয়েছে

প্রতীকী ছবি।

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে ছয় মাসের ব্যবধানে ১০১তম অবস্থান থেকে পাঁচ ধাপ এগিয়ে থেকে ৯৬তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম। তখন যৌথভাবে কসোভোও একই অবস্থানে ছিল। বর্তমান সূচক অনুযায়ী ভিসামুক্তভাবে অথবা অন-অ্যারাইভাল ৪০টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবে বাংলাদেশের নাগরিকরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের (এইচঅ্যান্ডপি) গ্লোবাল পাসপোর্ট র‍্যাংকিং-২০২৩-এ প্রকাশিত নতুন সূচকে শক্তিমত্তায় বাংলাদেশের পাসপোর্টের অগ্রগতির চিত্র উঠে এসেছে।

প্রতিষ্ঠানটির গত বছরের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৪তম। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশিত সূচকে তিন ধাপ উন্নতি হয় বাংলাদেশী পাসপোর্টের। হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের সদ্য প্রকাশিত সূচকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের। দেশটির পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বিশ্বের ১৯২টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই যেতে পারে।

সূচকে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি, ইতালি ও স্পেন। এ দেশগুলোর পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বিশ্বের ১৯০টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া যেতে পারে।

সূচকে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে আছে অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জাপান, লুক্সেমবার্গ, দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইডেন। এ দেশগুলোর পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বিশ্বের ১৮৯টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া যেতে পারে। এর মধ্যে পাঁচ বছর ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল জাপান। এছাড়া যুক্তরাজ্য চতুর্থ ও যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে অষ্টম অবস্থানে। 

এইচঅ্যান্ডপি প্রকাশিত সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ওপরে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য চারটি দেশের নিচে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাসপোর্টের শক্তিমত্তায় সবার ওপরে মালদ্বীপ। সূচকে দেশটির অবস্থান ৫৭তম। ভারত ৮০তম, ভুটান ৮৪তম ও শ্রীলংকার অবস্থান ৯৫তম। অন্যদিকে পাকিস্তানের অবস্থান ১০০তম ও আফগানিস্তানের অবস্থান ১০৩তম।

কয়েকটি বিষয়কে পরিমাপক গণ্য করে ১৮ বছর ধরে এ র‌্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে এইচঅ্যান্ডপি। আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (আইএটিএ) প্রদত্ত তথ্য, অনলাইনে নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য এবং সংস্থাটির নিজেদের করা গবেষণার ওপর ভিত্তি করে সূচক প্রকাশিত হয়। তবে বছরব্যাপীই প্রতিষ্ঠানটি সূচক তৈরির কার্যক্রম পরিচালনা করে। 

মূলত ভিসা ছাড়াই একটি পাসপোর্ট দিয়ে কতটি দেশে ভ্রমণ করা যায় তার ওপর ভিত্তি করেই বৈশ্বিক শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচক তৈরি করা হয়। এছাড়া সূচক তৈরিতে বেশকিছু বিষয়ে লক্ষ রাখা হয়। যেমন পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই কোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারলে সেক্ষেত্রে স্কোর ধরা হয় ১, এছাড়া পাসপোর্টধারী যদি ভিসা অন-অ্যারাইভাল, দর্শনার্থী হিসেবে অনুমতি, ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরিটি (ইটিএ) হিসেবে কোনো দেশে প্রবেশ করার সময় ভিসা পায় সেক্ষেত্রেও স্কোর ১ ধরা হয়। এ ধরনের ভিসায় কোনো যাত্রার আগেই সরকারের অনুমতি লাগে না। 

অন্যদিকে যাত্রার আগেই যদি সরকার অনুমোদিত ইলেকট্রনিক ভিসা লাগে তখন সেটির স্কোর ধরা হয় শূন্য। একই সঙ্গে ভিসা অন-অ্যারাইভালের বেলায়ও যদি সরকারের অনুমতি নেয়া লাগে সেটিকেও শূন্য স্কোর ধরা হয়।