নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যয়বহুল : নসরুল হামিদ

নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যয়বহুল : নসরুল হামিদ

ফাইল ছবি।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ ক্লিন এনার্জি নিয়ে কাজ করছে। পায়রা ও রামপাল কয়লাভিত্তিক এবং মাতারবাড়ি ক্লিন এনার্জি প্রকল্প। নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমাদের জন্য ব্যয়বহুল। আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং উর্বর ভূমি বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করা যায় না।

বুধবার (১৯ জুলাই) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনায় সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টারগেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (আরএপিআইডি)।

নসরুল হামিদ বলেন, ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন ১৭ থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হতো। তখন আমাদের লক্ষ্য ছিল বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। সেটি ছিল স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা। তখন আমরা ছোট ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছি। দ্বিতীয় ধাপে আমাদের পরিকল্পনা ছিল শতভাগ বিদ্যুতায়ন। আমরা সেই লক্ষ্যেও সফল হয়েছি। আমরা হাওড় ও বাঁওড় বিচ্ছিন্ন দ্বীপেও বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।

তিনি বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুতের কারণে আমাদের অর্থনীতির চিত্র বদলে গেছে, উন্নত হয়েছে জীবনযাত্রার মান। এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ। সেখানে নানা রকম আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি। পরিবেশ দূষণের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়, পরিবেশ দূষণের জন্য উন্নত বিশ্ব দায়ী। তবে দেশকে দূষণমুক্ত করতে চাই। আমরা ২০ শতাংশ ক্লিন জ্বালানির লক্ষ্য স্থির করেছি। আমরা ইলেকট্রিক যানবাহনের দিকে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ক্যাপাসিটি চার্জ হচ্ছে মৌলিক বিষয়। ক্যাপাসিটি চার্জ হচ্ছে বিনিয়োগের গ্যারান্টি। সারাবিশ্বেই ক্যাপাসিটি চার্জ বিদ্যমান। স্রেডা রিসার্চ করেছে, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ভবনে নকশায় পরিবর্তন আনতে হবে যেন পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে। কুঁড়েঘর পদ্ধতি ছিল খুবই বৈজ্ঞানিক, সেখানে অনেক জানালা থাকত।

সৌর বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নেট মিটারিং ফরমুলা গ্রাহকদের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। আমি বলি, আপনি বাসায় সোলার প্যানেল নিয়ে যান। স্রেডাতে আসুন তারা ফ্রি সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। যারা নেট মিটারিং ব্যবহার করছে, তাদের বিদ্যুৎ বিল অনেক কমে এসেছে।

ঢাকা ইকোনমিক ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক অতনু রাব্বানী, জর্জ টাউন ইউনির্ভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক অমৃতা কুন্ডু, ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের রিসার্চ ফেলো রোহিনি কামাল, লন্ডন ইমপেরিয়াল কলেজের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট শেফালী খান্না প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন।