রুয়েটে পরীক্ষার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

রুয়েটে পরীক্ষার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

সংগৃহীত

পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ১৭ সিরিজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে এ আন্দোলন করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপাচার্য না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, একই সেশনের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শেষ করেছে। অথচ আমরা এখন স্নাতক সম্মানই শেষ করতে পারলাম না। যথাসময়ে পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের বারবার বলেও কোনো সমাধান হচ্ছে না। পরীক্ষার তারিখ দিলেও সেটা পিছিয়ে যাচ্ছি। তাই দ্রুত পরীক্ষার দাবিতে আমরা আন্দোলনে বসেছি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মে শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন উপাচার্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন। সেদিন পদোন্নতির দাবিতে উপাচার্যের দপ্তরের সামনে আন্দোলন করেন প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক। সেদিনের পর থেকে উপাচার্যবিহীন নানা সংকটে চলছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

২০১৭-১৮ সেশনের স্নাতক শেষ বর্ষের পরীক্ষা আরো আগে সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু নানা জটিলতায় সেটা বারবার পিছিয়েই যাচ্ছে। ফলে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে বসেন। পরে জরুরি সভায় দ্রুত পরীক্ষা গ্রহণের আলোচনা হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপাচার্য না থাকায় দাপ্তরিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থমকে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্পসহ পরীক্ষা ও ফলাফল প্রস্তুতে ধীরগতি এবং শিক্ষকদের পদোন্নতির মতো নানা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সমস্যা দ্রুত সমাধান না হলে বিশ্ববিদ্যালয় বড় সংকটের মধ্যে পড়বে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সেলিম হোসাইন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি জরুরি সভা হয়েছে। সেখানে দ্রুত পরীক্ষা গ্রহণে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মূলত উপাচার্য না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নানা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বরাবরই নতুন উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে জানিয়ে আসছি। কিন্তু সেটার কার্যকরি কোনো সমাধান হচ্ছে না। আগামীকালও আমরা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠাব। আমরা চাই দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ অথবা অন্য কারো ওপর সাময়িক দায়িত্ব অর্পণ করুক। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক সংকটগুলো দ্রুত সমাধান হয়।