অটোরিকশার শো-রুমে বিস্ফোরণ: দেয়াল ধসে আহত ১৫

অটোরিকশার শো-রুমে বিস্ফোরণ: দেয়াল ধসে আহত ১৫

সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (ইজিবাইক) শোরুমে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে ওই ভবনসহ পাশের আরও ২টি ভবনের দেয়াল ধসে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন৷

শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়নের ভোলাইল এলাকায় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন জানান, সকালে বিকট শব্দে মুসকান মটরস্ নামে অটোরিকশার শোরুমে বিস্ফোরণ হয়৷ এ সময় পাশের একটি একতলা সেমিপাকা ও আরেকটি দোতলা পাকা ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে৷

বিস্ফোরণের বিকট শব্দ অন্তত এক কিলোমিটার দূর থেকেও শুনতে পান অনেকে৷ এ শব্দে আশেপাশের কয়েকটি ভবনের জানালার কাচও ভেঙে গেছে৷ এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন৷ তাদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে৷

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) ফখর উদ্দিন আহম্মাদ বলেন, ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশে চারতলা ভবনের নিচতলায় ইজিবাইক অ্যাসেম্বল করে বিক্রি করা হয়৷ প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে অসংখ্য ব্যাটারি রয়েছে৷ এসব ব্যাটারি থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে৷

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- শোরুমটির পাশের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মালিক সিরাজুল হক (৭০), তার স্ত্রী রোকসানা বেগম (৬০), তাদের তিন ছেলে সুমন হক (৪০), মাসুদ (৩৩) ও রাসেল (৩৫), মাসুদের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার, রাসেলের স্ত্রী দোলা আক্তার, সুমনের স্ত্রী বিথি আক্তার, ছেলে আবু সুফিয়ান (১২), মেয়ে আরফা মনি, মাসুদের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৩), রাসেলের ছেলে আরফান (৪), নির্মাণ শ্রমিক পল্টু (৪০)৷

আহত সিরাজুল হক বলেন, “হঠাৎ করে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়৷ সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বিল্ডিংয়ের দেয়াল ধসে পড়ে৷ দেয়ালে চাপা পড়ে আমাদের পরিবারের লোকজন আহত হয়৷”

সিরাজুলের অভিযোগ, অটোরিকশার শোরুমের ভেতর অবৈধ কেমিক্যাল রাখতো মালিক স্বপন৷ ওই কেমিক্যাল থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷

বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, শোরুমটির ২ পাশের দেয়াল পুরোটা ধসে গেছে৷ উপরের সিলিং ফ্যানগুলো দুমড়ে-মুচড়ে আছে। ভেতরে বেশকিছু অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্ল্যাস্টিকের গ্যালন ভর্তি কেমিক্যাল চোখে পড়ে।৷

শোরুম ও নির্মাণাধীন ভবনটির মালিক স্বপন হোসেনের ভাষ্য, ব্যাটারিচালিত রিকশা অ্যাসেম্বল করে বিক্রি করেন তিনি৷ কীভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে সে বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই৷