আগামী এক মাসের মধ্যে সরকারের পতন ঘটবে : নুর

আগামী এক মাসের মধ্যে সরকারের পতন ঘটবে : নুর

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর

গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা গত ২৮ তারিখ থেকে এক দফা আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলাম। আগামী ১ মাস যেকোনো সময় ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। চলমান আন্দোলন কখনো আগাবে, কখনো পেছাবে। আমরা বলেছি এই সরকারের আয়ু এক মাস। আগামী এক মাসের মধ্যে এ সরকারের পতন ঘটবে।

সোমবার পুরানা পল্টন এলাকার কালভার্ট রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নুর বলেন, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়কে সোনারগাঁও হোটেল থেকে খাবার এনে খাওয়ায়। আপনারা দেখেছেন গত ১৪ বছরে এই চিত্র? আমানউল্লাহ আমান আহতও হননি। অসুস্থ হয়ে গেছিলেন। তাকে ফল-জুস নিয়ে দেখতে যাওয়া, গত ১৪ বছরে দেখেছেন এই চিত্র? কলিজায় ভয় ঢুকে গেছে। এতদিন তারা বাংলাদেশের মানুষকে ভয় না করলে, মূল্যায়ন না করলেও এখন তারা বিদেশিদের চাপে, ভিসানীতির চাপে পড়ে এখন এসব করছে। তারা ভাবছে ক্ষমতায় না থাকলে তো বিদেশ যেতে হবে, অ্যাসাইলাম নিতে হবে।

তিনি বলেন, আল্লামা মামুনুল হকের মতো একজন আলেমকে সরকার মামলা দিয়ে পঙ্গু করে রেখেছে। গত ১৪ বছরে আলেমরা যে পরিমাণ বেইজ্জতি হয়েছে, এরকম আর কখনো হয়েছে? এখন তারা আবার মডেল মসজিদ করছে। নির্বাচন এসেছে, তাই আবার ছদ্মবেশ নিয়েছে।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, গত ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে একজন মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হয়। এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি তারা দেয় নাই। এতটাই নির্লজ্জ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়েছে? হয় নাই। যদি আমাদের সমাবেশে হতো তাহলে আমাদের নামে মামলা হতো। আমাদের সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে খুঁজে বের হতো। বাকি বোঝা গেল? আইনের শাসন আছে দেশে? নাই।

তিনি বলেন, গয়েশ্বর রায়ের খাওয়া নিয়ে আজকে এত কথা হচ্ছে। ডিবি অফিসে গেলে আপনাকে যদি বিষ খেতে বলা হয়। আপনি খেতে বাধ্য। এই অভিজ্ঞতা আমারও আছে। কিন্তু, এসব করে নেতাদের জনগণের কাছে বিভ্রান্ত করার জন্য। কিন্তু, জনগণ এখন সব বোঝে। ভিন্নমতের মানুষকে একদিকে তারা নিপীড়ন করছে, অন্যদিকে এসব নাটক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা নষ্ট করছে। আমরা এটি দেখতে চাই না।