বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের শীর্ষ আটে ঢাকা

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের শীর্ষ আটে ঢাকা

ফাইল ছবি

টানা দুই দিন বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির ফলে কিছুটা উন্নতি হলেও ফের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষ ১০ এ উঠে এসেছে ঢাকা। তালিকায় ১০৯ স্কোর নিয়ে আজ রাজধানীর অবস্থান শীর্ষ আট নম্বরে। বায়ুর এই মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকাল ৮টায় আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক এই তথ্য জানিয়েছে।

আইকিউএয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে চিলির সান্তিয়াগো। শহরটির স্কোর ১৪৫। পাশাপাশি দ্বিতীয় অবস্থানে ১৪০ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোরের পর শীর্ষ তিনে ১৩৮ স্কোর নিয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। এছাড়া ১৩৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষ চারে মালয়েশিয়ার কুচিং এবং পাঁচ নম্বরে একই স্কোর নিয়ে আছে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা।

এদিকে, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষ ছয়ে ১২৯ স্কোর নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার পর ১১৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষ সাত নম্বরে অবস্থান করছে ব্রাজিলের সাও পাওলো। এরপর শীর্ষ আট নম্বরে ১০৯ স্কোর নিয়ে আছে রাজধানী ঢাকা। পাশাপাশি নয় নম্বরে ১০৮ স্কোর নিয়ে আছে কাতারের দোহা। এছাড়া তালিকার শীর্ষ ১০ এ ৯২ স্কোর নিয়ে আছে ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা ভালো থাকে।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।