দুই যুগ পর চালু হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানা

দুই যুগ পর চালু হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানা

সংগৃহীত

বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রায় দুই যুগ পর চালু হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানাটি। সুগার মিলের পর এটিই ছিল জেলার একমাত্র ভারি শিল্প কারখানা। কারখানাটি চালু হলে রেশমশিল্পে আবার সুদিন ফিরবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

আশির দশকে বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএস ঠাকুরগাঁও শহরের গোবিন্দনগরে তিন দশমিক ৩৪ একর জমির ওপর রেশম কারখানাটি গড়ে তোলে। ১৯৮১ সালের ৩০ জুন কারখানাটি রেশম বোর্ডে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু নানা কারণে কারখানাটি আর চলে নি। ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর লোকসানের অজুহাতে বন্ধ ঘোষণা করা হয় কারখানাটি।

সরকারি সিদ্ধান্তে কারখানাটি আবার বেসরকারিভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাঁচ বছরের জন্য সুপ্রিয় গ্রুপকে আট লাখ ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে শুধুমাত্র বিলডিং এবং যন্ত্রগুলো ব্যবহারের জন্য লিজ দেয়া হয়েছে। কারখানটি চালু করতে ঝোপ-ঝাড় ও মেশিন ঝেড়ে মুছে পরিস্কার করা হচ্ছে। গুটি ও সুতা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পেড়েছেন রেশম চাষিরাও।

কারখানাটি চালু হলে শতাধিক শ্রমিক আর ১০ হাজার চাষির বেকারত্ব ঘুচবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।

শিগগিরই কারখানাটি চালুর আশা সুপ্রিয় গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবলুর রহমানের।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, জেলার ঐতিহ্যবাহী কারখানাটি চালু হলে কর্মচাঞ্চল্য শুরু হবে। হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। 

রেশম কারাখানা চালুর অপেক্ষায় ঠাকুরগাঁওবাসী।