বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া নাতনিকে হারিয়ে পাগলপ্রায় নানা-নানি

বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া নাতনিকে হারিয়ে পাগলপ্রায় নানা-নানি

ছবিঃ সংগৃহীত।

বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া আদরের নাতনি তাসপিয়া জাহান রিতুকে হারিয়ে পাগলপ্রায় বৃদ্ধ নানা-নানি। নাতির শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন নানা এবারত আলী মোল্লা। মেয়ে জামাইকে কীভাবে সান্ত্বনা দেবেন সেই চিন্তায় নির্বাক নাতনি হারা বৃদ্ধ হাওয়া বেগম। 

নাতনির মৃত্যুর খবরে মঙ্গলবার বিকালে এমন হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের মাসকাটা গ্রামে তাসপিয়া জাহান রিতুর নানাবাড়িতে।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পানিতে ডুবে নিহত দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন তাসপিয়া জাহান রিতু। পারিবারিক কারণে ছোটবেলা থেকে মাসকাটা গ্রামে নানা এবারত আলী মোল্লা ও নানি হাওয়া বেগমের কাছে থাকতেন তাসপিয়া। 

বাবার ব্যবসা-চাকরি এবং ছোটবোনকে দেখভালের কারণে বাবা-মা উভয়ই থাকেন চাঁদপুরে। তাই নানা আর নানিই ছিল রিতুর বড় হওয়ার অবলম্বন। ২০১৭ সালে ফকিরহাটের বেতাগা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ২০১৯ সালে খুলনা বয়রা মহিলা কলেজে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি
নিহত তাসপিয়া জাহান রিতুর নানা বলেন, ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্টে তাসপিয়াকে বড় করেছি। কোনো দিন বাবা-মায়ের অভাব বুঝতে দেয়নি। আমাদের রেখে চলে গেল, কে আমাকে নানা বলবে। 

নিহত তাসপিয়ার নানি হাওয়া বেগম বলেন, ছোটবেলা থেকে রিতুকে আগলে রেখেছি। এখন চলে গেল, কী জবাব দেব আমি ওর মা-বাবাকে।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অভ্যন্তরে অবস্থিত লেকের পানিতে ডুবে তাসপিয়া জাহান রিতু ও অনন্যা হিয়া মারা যান।