রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশ চলছে
রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশ চলছে
রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে।সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন।সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ হাজার হাজার মানুষ সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুর ১২টার মধ্যে মাঠ ও এর আশেপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের রঙিন ব্যানার, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ছোট নৌকা, জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে দেখা যায়। তারা গত সাড়ে ১৪ বছরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি অনুরোধও জানান তারা।প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পুরো শহর শত শত তোরণ, ফেস্টুন, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত পোস্টার দিয়ে সাজানো হয়েছে। একইভাবে সাজানো হয়েছে বিভাগীয় এই শহরের প্রতিটি অলি-গলি।
২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ বছর পর এবার রংপুর সফরকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে কয়েক দিন ধরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জায় পুরো রংপুর সেজেছে নতুন সাজে।জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি সম্বলিত পোস্টারে বেশিরভাগ উঁচু দালান, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, গোলচত্বর এবং দেয়ালে রঙিন ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে তোরণ স্থাপন করা হয়েছে।
‘ন্যায় অধিকার ট্রান্সজেন্ডার উন্নয়ন’ সংস্থার ব্যানারে রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৯০ জন ট্রান্সজেন্ডার রঙিন পোশাক পরে একটি শোভাযাত্রা নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন।২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ট্রান্সজেন্ডার নারী নুসরাত বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত ও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী তাদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং সমাজের মূলস্রোতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু প্রধানমন্ত্রীর কারণেই আমরা এখন চেয়ারপার্সন ও সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারছি এবং নির্বাচিত হচ্ছি।’মাহিগঞ্জ থানার ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩ হাজারেরও বেশি নারী-পুরুষ মিছিল নিয়ে এসেছেন। তাদের একজন ৬৩ বছর বয়সী সেলিম মিয়া জানান, সকাল ৮টার দিকে তারা বাসে করে এসে সমাবেশে যোগ দেন।
তিনি বলেন, তাদের জেলার পুত্রবধূ (প্রধানমন্ত্রী) তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তারা খুব খুশি।সমাবেশে অংশ নেওয়া নারীরা বাহারি রঙের শাড়ির সঙ্গে ক্যাপ, অন্যদিকে পুরুষরা নীল রঙের গেঞ্জির সঙ্গে ক্যাপ পরেছেন।৭৩ বছর বয়সী ফজলুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, রংপুরের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর অবদানের প্রতিদান জনগণকেই দিতে হবে।
সূত্র : ইউএনবি