কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

ফাইল ছবি

সুনামগঞ্জে কারাগারে থেকে মুক্তি পেয়েছেন বুয়েটের ২৪ জনসহ ৩২ শিক্ষার্থী। তারা টাঙ্গুয়ার হাওরে গ্রেপ্তার হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুইজন শিশু ছিল, তাদের জন্যও জামিনের প্রার্থনা করা হয়েছে। এই শিশুদের শুনানি হবে শিশু আদালতে।

বুধবার সন্ধ্যায় আদালত থেকে জামিনের কাগজপত্র পৌঁছালে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন ও শিক্ষার্থীরা।

তবে এ সময় কোনো শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। কারা ফটকের সামনে তাদের জন্য পূর্ব থেকে প্রস্তুত রাখা বাসে উঠে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।

এর আগে দুপুর ১টার দিকে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারহান সাদিক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তৈয়বুর রহমান বাবুল নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আদালত সন্তুষ্ট হয়ে প্রত্যেক আসামিকে ৫ হাজার টাকার বন্ডে মুক্তি প্রদান করেছেন। এর মধ্যে দুইজন শিশু আছে, তাদের জন্যও জামিনের প্রার্থনা করা হয়েছে। এই শিশুদের শুনানি হবে শিশু আদালতে। আজকেই শুনানি করব, আশা করছি আমরা ন্যায়বিচার পাব।

সুনামগঞ্জ কারাগার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে বুয়েট শিক্ষার্থী সাকিব শাহরিয়ারের বাবা জামাল উদ্দিন চৌধুরী সব অভিভাবকের পক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, আদালত আমাদের সন্তানদের জামিন দিয়েছেন; এজন্য আমরা খুশি। আমরা আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই এবং এ মামলাটা দিয়ে যেন আর কোনো হয়রানি করা না হয়। মামলাটা যেন খারিজ হয়ে যায় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো এখনো পাইনি। আশা করছি পেয়ে যাব। এছাড়া আমরা আমাদের বাচ্চাদের সঙ্গে এখনো ভালো করে কথা বলতে পারিনি; কাজেই এর থেকে বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা বাজারের নৌকাঘাট থেকে রোববার সকালে একটি নৌকা নিয়ে বুয়েটের ২৬ জনসহ মোট ৩৪ শিক্ষার্থী ঘুরতে যান টাঙ্গুয়ার হাওড়ে। বেড়ানোর এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে পাটলাই নদী দিয়ে ট্যাকেরঘাট পর্যটন এলাকায় যাওয়ার পথে নতুন বাজারের সামনে নৌকাটিকে আটক করে পুলিশের দুটি স্পিডবোট। এ সময় ৩৪ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।