ভুয়া কাগজপত্রে পদোন্নতি, ১১ অধ্যক্ষ-শিক্ষককে শোকজ

ভুয়া কাগজপত্রে পদোন্নতি, ১১ অধ্যক্ষ-শিক্ষককে শোকজ

ফাইল ছবি

ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি এবং আর্থিক সুবিধা নেয়ায় ৫ জন প্রভাষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। পাশাপাশি তাদের পদোন্নতিতে সহায়তা করায় ৬ অধ্যক্ষকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবুল বাসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এতে ভুয়া কাগজপত্রে পদোন্নতি পাওয়া ও তাদের সহায়তা করা ১১ জন অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের এমপিও স্থগিত/বন্ধ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কেন সুপারিশ করা হবে না, তা ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

শোকজ পাওয়া ১১ অধ্যক্ষ ও প্রভাষকরা হলেন, রংপুরের মিঠাপুকুরের ভাংনী আহমাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু ছালেহ মোহাম্মদ জাকারিয়া, একই মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ এ কে এম শাহিন আখতার।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচানী হোসাইনীয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ এনামুল হক, একই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রেবাত উল্লাহ।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের চৌমহনী ফয়েজে আম আলিম মাদরাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক মো. মহসিন, একই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম মাসুম পাটোয়ারী।

কুমিল্লার মুরাদনগরের সোনাকান্দা দারুল হুদা বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ মাহবুবুল হক ও একই মাদরাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান।

চাঁদপুর সদর উপজেলার মাদনারী সিনিয়র মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক মো. মোশারফ হোসেন ও একই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নেছার আহমেদ এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া বাতেনিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মুক্তার হোসেন।

মাদ্রাসা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পাঠানা নোটিশে বলা হয়, তথ্য গোপন ও ভুয়া কাগজ সৃজন এবং জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে আপনি পদোন্নতি ও আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন, যা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী আর্থিক বিধির লঙ্ঘন।

এ অবস্থায় অতিরিক্ত উত্তোলিত অর্থ সরকারি কোষাগারে চালানের মাধ্যমে ফেরত প্রদান, তথ্য গোপন ও ভুয়া কাগজপত্র সৃজন এবং জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি ও আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করায় কেন আপনার এমপিও (বেতন-ভাতার অংশ) স্থগিতসহ স্থায়ী বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে না, সেই মর্মে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। পদোন্নতিতে সহযোগিতা করা অধ্যক্ষদের দেয়া নোটিশে বলা হয়, তথ্য গোপন ও ভুয়া কাগজ সৃজন এবং জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে শিক্ষককে পদোন্নতি ও আর্থিক সুবিধা পেতে আপনি সহায়তা করেছেন, যা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী আর্থিক বিধির লঙ্ঘন।

এমতাবস্থায়, আপনার এমপিও (বেতন-ভাতার অংশ) বন্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কেন সুপারিশ করা হবে না, সেই মর্মে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি কমিটির সদস্যসচিব ও অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) মো. আবুল বাসার এ শোকজ নোটিশে সই করেন।

গত ৩০ জুলাই এসব চিঠি স্ব স্ব অধ্যক্ষ ও শিক্ষক বরাবর পাঠানো হয়। গতকাল রোববার (৬ আগস্ট) রাতে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ নোটিশ প্রকাশ করা হয়।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল