দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ

দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ

ফাইল ছবি

দেশজুড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নয়জন মারা গেছেন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও দুই হাজার ৪৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

শুক্রবার বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের ডেঙ্গু জ্বরের পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৭৫ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু সাড়ে তিন শতাধিক। গত এক সপ্তাহে মৃত্যু প্রায় শতাধিক, যার বেশিরভাগই ঢাকায়। 

বিবৃতিতে আরও বলা হযেছে, ঢাকাসহ দেশের সব হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ব্যবস্থাপনায় ডাক্তারগণ রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট থাকায় রোগীর স্বজনরা রোগী ভর্তির জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটোছুটি করছেন। হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে অনেকেই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে স্যালাইন সংকট এবং অসাধু ব্যাবসায়ীরা এর সুযোগ নিচ্ছে, বরাবরের মতই সরকার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। 

যখন অনেকেই বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই এডিস মশার লার্ভা নিধনের পরামর্শসহ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছিল, সরকার তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে বরং বিরোধীদলীয় কর্মীদের নিধনেই বেশি ব্যস্ত ছিল। যার কারণে এবার ডেঙ্গু ঢাকাসহ প্রায় সবগুলো জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। শোনা যায়, নিম্ন মানের কীটের কারণে রোগ নির্ণয় পর্যন্ত সঠিকভাবে সম্ভব হচ্ছে না।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন ডা. রফিকুল ইসলাম। সেই সঙ্গে জরুরিভাবে মানসম্মত ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় কীটের ব্যবস্থা করে প্রতিটি জ্বরের রোগীকে ডেঙ্গু স্ক্রীনিং এর আওতায় এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে ডা. রফিকুল আরও বলেন, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার ও স্বরাষ্ট্র এই তিন মন্ত্রণালয়কে নিয়ে সমন্বিত টাস্কফোর্স গঠন করে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা ও প্রতিরোধ কার্যক্রম বেগবান করতে হবে। বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করার কথাও বলা হয়েছে বিবৃতিতে।