ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোকে একগুচ্ছ নির্দেশনা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোকে একগুচ্ছ নির্দেশনা

ফাইল ছবি

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রাজধানীসহ সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। যতই দিন যাচ্ছে বেড়েই চলেছে এর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। প্রতিদিন বহু সংখ্যক নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক-কর্মী ও গ্রাহকদের সুরক্ষায় ব্যাংক ও এর আশপাশে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়। এতে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এবং এদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করছেন। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা, মৌসুমি বৃষ্টিপাত, জমানো পানি, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে। ফলে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও গ্রাহকদের সুরক্ষার্থে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, শাখা, উপশাখা, এজেন্ট আউটলেট, ট্রেনিং সেন্টার, এটিএম বুথসহ সব কেন্দ্র ও এর আশপাশে যেখানে এডিস মশার বিস্তার হতে পারে এমন স্থানগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র অর্থাৎ পানি জমার পাত্র, স্থানগুলো যেমন পরিত্যক্ত ফুলের টব, অব্যবহৃত কৌটা, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদি বিনষ্ট করতে হবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্র যেমন ভবনের ছাদ, গ্যারেজ, এসি, ফ্রিজ, পানির ট্যাংক, রান্নাঘর ইত্যাদি সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

অফিস ভবনের পাশাপাশি ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আবাসিক স্থাপনাগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ব্যাংক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। ব্যাংকের কর্মক্ষেত্র ও সংলগ্ন অংশে নিয়মিত মশা নিধনের ওষুধ, স্প্রে কিংবা কয়েল ব্যবহার করতে হবে। গ্রাম, শহর ও নগরের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের নেওয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে ব্যাংক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।