মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালন

মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালন

সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাসের প্রধান ফটকে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। 

পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হাই কমিশনার মো. গোলাম সরোয়ার। এ ছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর হাইকমিশনার  মো. গোলাম সরোয়ারের সভাপতিত্বে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শোক দিবসের আলোচনা সভা।

দূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহানা পারভীনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের  শ্রম সচিব সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ।  

প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতালয় প্রধান ফারহানা চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন কাউন্সিলর (পাসপোর্ট) মিয়া মোহাম্মদ কিয়ামুদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন কাউন্সিলর (শ্রম) সুমন কুমার দাস ।

আলোচনা সভায় হাইকমিশনার মো. গোলাম সরোয়ার  বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেদিন বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছিল। এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশের আত্মবিকাশকে রুদ্ধ করে দেয়াই ছিল এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড জাতির অস্তিত্ব ও মননে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে। তবে সে ক্ষতের কিছুটা উপশম হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে খুনিদের বিচারের মাধমে ।

এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর তারিকুল ইসলাম, কাউন্সিলর (ভিসা) জি এম রাসেল রানা, প্রথম সচিব (শ্রম) জাহিদুর রহমানসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।