স্ট্রোক প্রতিরোধে খেতে পারেন যেসব খাবার

স্ট্রোক প্রতিরোধে খেতে পারেন যেসব খাবার

সংগৃহীত

হার্টকে সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য পরিবর্তন দরকার খাদ্যাভ্যাসে। এতে করে হৃদরোগ ও স্ট্রোক থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন নিজেকে। বিজ্ঞানীরাও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ব্রিটেনে পুষ্টি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অল্পবয়সীরাও হৃদরোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে।


দেহের রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্র কম রাখা গেলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আনলে হৃদরোগ থেকে বাঁচা যেতে পারে। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক হৃদরোগ ও স্ট্রোক থেকে সুরক্ষিত থাকতে খাদ্যাভ্যাসে কোন কোন পরিবর্তন আনবেন।

বাদ দিতে হবে জমাট বাঁধা চর্বিজাতীয় খাবার

খাদ্য বিজ্ঞানীদের মতে, যেসব খাবারে চর্বি থাকে তা থেকে বিরত থাকতে হবে।

কেননা এসব খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। এ জন্য চিজ, দই, লাল মাংস, মাখন, কেক, বিস্কুটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এসব খাবারে জমাট বাঁধা চর্বি প্রচুর থাকে।

হৃদরোগ প্রতিরোধ করার জন্য চর্বি জমাট বাঁধে না এমন খাবার খেতে হবে। যেমন তেল সমৃদ্ধ মাছ, বাদাম ও বীজ। পাশাপাশি রান্নার ক্ষেত্রে অলিভ তেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। আর দুধের ক্ষেত্রে দুধ থেকে চর্বি সরিয়ে তারপর খাওয়া ভালো। লাল মাংস না খেয়ে মুরগির মাংস খেতে হবে।

এ ক্ষেত্রে মুরগির চামড়া ফেলে দিতে হবে। গরুর মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে মাংস থেকে চর্বি ফেলে রান্না করতে হবে।

আঁশযুক্ত খাবার

আঁশযুক্ত খাবার খেলে শরীরে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়। যা কিনা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শিম ও মটরশুঁটি জাতীয় সবজি, কলাই ও ডাল জাতীয় শস্য এবং ফলমূল। এছাড়া আলু এবং শেকড় জাতীয় সবজি খোসাসহ রান্না খাবার খাওয়ার কথাও বলে থাকেন পুষ্টি বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি আটার রুটি এবং বাদামী চাল খাওয়ার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

অতিরিক্ত লবণ  খাবেন না

অতিরিক্ত লবণ শরীরে রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। এতে করে মানবদেহের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, লবণ কম-বেশি খাওয়া মানুষের অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। লবণ কম খেলে চাহিদাও কমে যায়। কাঁচা লবণের পরিবর্তে রান্নায় লবণ ব্যবহার করলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার

আমাদের সুস্থ রাখতে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থযুক্ত খাবার সহায়ক ভূমিকা রাখে। এসব খাবারে হৃদরোগের সমস্যা কমে। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ খাদ্য কার্যকরী। 

কারও শরীরে যদি ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি থাকে এ ক্ষেত্রে ফল বা সবজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া ভিটামিন-বি জাতীয় খাবারও খাওয়া যেতে পারে। যেমন মাছ ও দুগ্ধজাত খাবার। কলা, আলু এবং মাছে পটাশিয়াম থাকে। এসব খাবার নিয়মিত খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সূত্র : মেডিকেল নিউজ টুডে