যশোর বোর্ডে এসএসসিতে ২৭৪ জনের ফল পরিবর্তন

যশোর বোর্ডে এসএসসিতে ২৭৪ জনের ফল পরিবর্তন

ফাইল ছবি

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষা-২০২৩ এর উত্তরপত্র পুনরায় নিরীক্ষায় ২৭৪ জন পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪২ পরীক্ষার্থী। আর অকৃতকার্য থেকে কৃতকার্য হয়েছে ৫৪ জন। একেবারেই অকৃতকার্য থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন। বাকিদের পরিবর্তন হয়েছে বিভিন্ন গ্রেড। 

সোমবার এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বোর্ড প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে এতো সংখ্যক পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন ও একেবারেই ফেল করা পরীক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ পাওয়ায় পরীক্ষকদের দক্ষতা আর দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পূর্বে যারা পরীক্ষক ছিলেন তারা কীভাবে এই উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়ন করেছেন প্রশ্ন অভিভাবকদের। বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছেন, এসকল পরীক্ষকের তালিকা করা হচ্ছে। খাতা দেখায় ভুল করা পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে আপত্তি ও প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় চ্যালেঞ্জ করেছিল ৪৩ হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষার্থী। এতে ২৭৪ জনের ফল পরিবর্তন এসেছে। তাদের মধ্যে অকৃতকার্য হওয়া ৫৯ পরীক্ষার্থী বিভিন্ন গ্রেড পয়েন্ট পেয়ে কৃতকার্য হয়েছে। এর বাইরে অকৃতকার্য থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন। এ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১০ জন, এ মাইনাস থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন। বি গ্রেড থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭ জন। এছাড়া বাকিদের বিভিন্ন গ্রেডে ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে।

এই বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ বলেন, পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর যোগফল গণনার কারণে পুনর্নিরীক্ষা রেজাল্ট পরিবর্তন আসে। ৪৩ হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র নতুন করে পরীক্ষক নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হয়। এতে ২৭৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। 

ফেল করা শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ পাওয়ায় পরীক্ষকদের দক্ষতার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অভিজ্ঞ পরীক্ষক দিয়ে খাতা পুনর্নিরীক্ষণ করা হচ্ছে। যার মধ্যেও কিছু খাতায় অনিচ্ছাকৃত বা গণনার কারণে ভুল হয়। নিয়ম অনুযায়ী যে প্রাপ্য ফলাফল সেটাই দেওয়া হয়েছে। আর খাতা দেখায় ভুল করা পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হতে পারে বোর্ডের পরীক্ষকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী যশোর বোর্ডে ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিলেন। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২০ হাজার ৬১৭ জন। যা যশোর শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমে। গতবছর পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩০ হাজার ৮৯২ জন।