ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে ২০০০ দুষ্প্রাপ্য শিল্পসামগ্রী চুরি

ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে ২০০০ দুষ্প্রাপ্য শিল্পসামগ্রী চুরি

ফাইল ছবি

বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে অন্তত দুই হাজার দুষ্প্রাপ্য শিল্পসামগ্রী চুরি হয়েছে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। 

খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে উনিশ শতকের মধ্যে অন্তত দুই হাজার প্রত্নবস্তু ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়। গত কয়েক বছর ধরে সেই দুষ্প্রাপ্য প্রত্নবস্তুর দেখা মিলছিল অনলাইনের বিভিন্ন সাইটে। অবশেষে তা চিহ্নিত করে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

ব্রিটিশ মিউজিয়ামের চেয়ারম্যান জর্জ অসবোর্ন জানিয়েছেন, আনুমানিক দুই হাজার শিল্পসামগ্রী চুরি গিয়েছে। মিউজিয়ামের কর্মীরা চুরি হওয়া জিনিসপত্র শনাক্ত করার কাজ করছেন। চুরি যাওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে সোনার গয়না, বিভিন্ন রত্ন, ভাস্কর্য। এগুলো প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরোনো। সম্প্রতি এই জিনিসগুলোর কোনোটিই জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হয়নি। 

এদিকে গত শুক্রবারই পদত্যাগ করেন জাদুঘরের ডিরেক্টর হার্টউইগ ফিশার। গোটা ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। ঐতিহাসিক বিভিন্ন জিনিস অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে, তা নিয়ে সতর্কতার পরেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। 

ব্রিটিশ মিউজিয়ামের ডেপুটি ডিরেক্টর জোনাথন উইলিয়ামসও জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার পর্যালোচনা করা হলে তিনি সরে দাঁড়াবেন।

জানা গেছে, চুরি যাওয়া প্রত্নবস্তু তালিকায় রয়েছে সোনা ও মূল্যবান পাথরের বহু গয়না। জাদুঘরের স্টোররুমে রাখা একটি শিল্পকর্মের টুকরা টুকরা অংশও ওই চুরি যাওয়া সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে।

এদিকে এমন ঘটনায় বিব্রত ব্রিটিশ মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালে এক ডাচ শিল্প সংগ্রাহক বিষয়টি নিয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসবোর্ন স্বীকার করে নিয়েছেন যে, সেই তদন্ত আসলে অসম্পূর্ণ ছিল। এরপর আচমকা পদত্যাগ করেন জাদুঘরের পরিচালক হার্টউইগ ফিশার। নাম প্রকাশ করা হয়নি, কিন্তু জড়িত সন্দেহে এক কর্মীকেও ছাঁটাই করা হয়।

ব্রিটিশ মিউজিয়ামের চেয়ারম্যান অবশ্য বলেছেন, বিষয়টিকে তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তার কথায়, মেনে নিচ্ছি এই জাদুঘর কিছু ভুল করেছে। তার জন্য আমরা ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি। আমরা সব কিছুই ঠিক করার চেষ্টা করছি। আশা করি শতাব্দী প্রাচীন এই ব্রিটিশ মিউজিয়াম আবার এমন এক উচ্চতায় পৌঁছাবে যাকে নিয়ে বিশ্ব গর্ব করতে পারে।