বিয়ে করেছেন ক্রিকেটার আকবর আলি

বিয়ে করেছেন ক্রিকেটার আকবর আলি

ছবিঃ সংগৃহীত।

জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক আকবর আলি। কনে জান্নাতে ওয়াহিদা হোসেনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার।

বুধবার (৩০ আগস্ট) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আকবর। জান্নাতে ওয়াহিদা হোসেনের সঙ্গে জীবনের গাঁটছড়া বাঁধলেন তিনি।

ওয়াহিদা হোসেনকে নিয়ে আকবর তার পোস্টে লেখেন- ‘তোমার সঙ্গে পরিচয়টা কাকতালীয় ছিল, কিন্তু তোমাকে নেওয়াটা অবশ্যম্ভাবী। আমার জীবনে আসার জন্য ধন্যবাদ। সঙ্গী হিসেবে তুমি এমন একজন যাকে পাওয়ার স্বপ্ন সবাই দেখে।’

২০২০ সালে আকবরের নেতৃত্বে ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। 

আকবর আলী যেভাবে ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন

আকবর আলিমাত্র ৬ বছর বয়সে পাড়ার গলিতে টেপ টেনিস বল আর ভাঙা ব্যাটে খেলা শুরু করেছিলেন। যেন ক্রিকেট না বুঝেই ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক। এভাবেই খেলতে খেলতে বড় ভাইয়ের পরামর্শে একাডেমিতে অনুশীলন শুরু হয় তার। 

রংপুর মহানগরীর পশ্চিম জুম্মাপাড়া হনুমানতলা গ্রামের ফার্নিচার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোস্তফা ও সাহিদা বেগম দম্পতির ৪ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ক্রিকেট পাগল ছেলে আকবর আলী।

ছেলের ক্রিকেটের প্রতি আসক্তি দেখে ফার্নিচার ব্যবসায়ী বাবা মোহাম্মদ মোস্তফা সিসিসি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের মালিক আলতাব হোসেনের পরামর্শে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে অসীম মেমোরিয়াল ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি করে দেন। তখন আকবর লায়ন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন।

সেই ক্রিকেট একাডেমির কোচ অঞ্জন সরকারের হাত ধরে তার ক্রিকেটের সত্যিকারের হাতেখড়ি। সেখানে তিনি ৩ বছরের বেশি সময় প্রশিক্ষণ নেন। ২০১২ সালে দেশের সেরা ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে ভর্তি হন আকবর আলী। তারপর শুধুই তার এগিয়ে যাওয়ার গল্প।

বিকেএসপির বয়সভিত্তিক দলে খেলে সুযোগ পেয়ে যান জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলে। নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতাও বাড়তে থাকে সমানতালে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিশু নিকেতনে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে ভর্তি হন লায়ন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজে। সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়াকালীন বিকেএসপিতে চান্স পান। সেখানে লেখাপড়া ও খেলাধুলা একসঙ্গে চলছিল।

২০১৬ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পান। আর ২০১৮ সালে এসএইচসিতে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৪.৪২ পান।  তিনি খেলার পাশাপাশি লেখাপড়াও দারুণ মনোযোগী।