কাপ্তাই হ্রদ জেলেদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে

কাপ্তাই হ্রদ জেলেদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে

সংগৃহীত

নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘ ১৩৫ দিন পর রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দিনগত মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে নামছেন জেলেরা। চিরচেনা রূপে ফিরছে কাপ্তাই হ্রদ। এতে জেলেদের মধ্যে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য।

কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করা এবং অবমুক্ত করা মাছের পোনার স্বাভাবিক বৃদ্ধি জন্য প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। তবে এ বছর কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি না পাওয়ায় মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ দুই দফা বৃদ্ধি করা হয়। ফলে ১৩৫ দিন পর পুনরায় মাছ আহরণ শুরু হচ্ছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম এই কাপ্তাই হ্রদে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাঙ্গামাটি জেলার বিপণন ব্যবস্থাপক নৌ কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) দিনগত মধ্যরাত থেকে থেকে জেলেরা কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন।

এ সময় কমান্ডার বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানি কম থাকায় এবং কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ দু’দফায় বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে হ্রদে যথেষ্ট পানি রয়েছে। তাই ব্যবসায়ী, মৎস্য বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। জেলেরা ওইদিন রাত থেকে মাছ ধরতে পারবে।

নিয়ম অনুয়ায়ী ১৯ জুলাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা একমাস ১২দিন বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছিলো।

এর আগে ১৯ এপ্রিল থেকে কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও তা বেড়ে হ্রদে ৪ মাস ১২দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ ছিলো।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) পর মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় জেলেদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। এর মধ্যে জেলেরাও সেরে নিয়েছেন সব প্রস্তুতি। ব্যবসায়ীদের আশা এ বছর আশানুরূপ মাছ শিকার করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। এই হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে ২৫ হাজারেরও বেশি জেলে। মাছ শিকার বন্ধকালীন সময়ে জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেয়া হয়।