পুতিন-এরদোগানের বৈঠক

পুতিন-এরদোগানের বৈঠক

সংগৃহীত

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। এ দুই নেতার বৈঠকে কৃষ্ণ সাগরে শস্যের চালানের নিরাপদ উত্তরণ নিশ্চিতে চুক্তি পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ সমর্থিত ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া শস্য চুক্তি থেকে রাশিয়া জুলাই মাসে নিজেদের প্রত্যাহার করে। এতে কার্যকরভাবে কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে বেসামরিক জাহাজের নিরাপদ নৌচলাচল প্রত্যাহার হয়।

শুক্রবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সোচিতে সোমবার আলোচনা হবে।’

এদিকে মস্কোর এ ঘোষণার আগে ইউক্রেন জানায়, নিরাপদ ন্যাভিগেশন নিশ্চিত করতে কিয়েভের একটি অস্থায়ী করিডোর দিয়ে আরো দুটি জাহাজ যাত্রা করছে। দেশটির অবকাঠামোমন্ত্রী অলেকজান্ডার কুব্রাকভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, ‘দুটি জাহাজ ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর বন্দর থেকে বসফরাস পর্যন্ত একটি অস্থায়ী করিডোর দিয়ে যাত্রা করছে।’

মস্কো ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে যাওয়া জাহাজগুলোকে সামরিক লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে সতর্ক করার পর কিয়েভ আগস্টে নতুন সামুদ্রিক করিডোর ঘোষণা করেছিল।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বৃহস্পতিবার মস্কো সফরে বলেছিলেন, কৃষ্ণ সাগরের ওপারে ইউক্রেনের শস্য পাঠানোর চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ’। তুরস্ক চায় যুদ্ধরত পক্ষগুলো চুক্তিতে ফিরে আসুক এবং এটিকে বৃহত্তর শান্তি আলোচনার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করুক।

অন্যদিকে মস্কো বলেছে, বৈশ্বিক অর্থপ্রদান ও এবং বীমাতে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার সীমিত করার মাধ্যমে আগের চুক্তিটি তাদের শস্য ও সার রপ্তানির ওপর পরোক্ষ বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। দাবি পূরণ হলে মস্কো চুক্তিতে ফিরে যেতে পারে বলে তারা বারবার বলেছে।

সূত্র: এএফপি