সুপার ফোর নিশ্চিত করলো ভারত

সুপার ফোর নিশ্চিত করলো ভারত

সংগৃহীত

নেপালের বিপক্ষে দাপুটে জয় নিয়েই সুপার ফোরে নিশ্চিত করলো ভারত। হিমালয়ের দেশটাকে বৃষ্টি আইনে ১০ উইকেটে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল। ব্যাট হাতে দারুণ করলেও বল হাতে তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি নেপালিরা। আগে ব্যাট করে ২৩০ রান তুললেও, তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

নেপালের ইনিংসে বেশ কয়েকবার বৃষ্টি বাধায় খেলা বন্ধ থাকলেও ওভার কর্তন করতে হয়নি। তবে ভারতের ইনিংসে আর ছাড় মেলেনি। ২.১ ওভারে ভারতের সংগ্রহ যখন ১৭ রান, তখন নামে বৃষ্টি। প্রায় দেড়ঘণ্টা বৃষ্টি শেষে ভারত যখন ফের ব্যাটিংয়ে নামে, ততক্ষণে ২৩ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৫ রান।

ছোট লক্ষ্য পেয়ে যেন রক্তের ঘ্রাণ পেয়ে যায় ভারত। শিকারের নেশায় তীব্র ক্ষুধা পেটে ঝাপিয়ে পড়ে নেপালি বোলারদের ওপর। দুই ওপেনার শুভমান গিল আর রোহিত শর্মা মিলে ঝড় তুলেন ব্যাট হাতে। দু'জনেই তুলে নেন ফিফটি।

নেপাল বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে ১৭ বল বাকি থাকতেই ১০ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ভারত। রোহিত শর্মা ৫৯ বলে ৭৪ ও শুভমান গিল অপরাজিত থাকেন ৬২ বলে ৬৭ রানে।

প্রথমবার এশিয়া কাপ খেলতে এসে প্রথম দল হিসেবেই বিদায় নিলো নেপাল, ধরেছে বাড়ির পথ। কোনো ম্যাচ না জিতলেও তৃপ্ত নেপাল, ভারত-পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে খেলাটাই প্রাপ্তি তাদের। প্রথম ম্যাচে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার পর সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে পাল্লেকেলেতে ভারতের মুখোমুখি হয় নেপাল।

খুব বড় হয়তো নয়, ভারতের মতো দলের বিপক্ষে যথেষ্টও নয়; তবে আগে ব্যাট করে মানসম্মত সংগ্রহই পায় নেপাল। লড়াই করার পুঁজি পেয়েছিল তারা। শামি, সিরাজ, কুলদীপদের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটাই দিয়েছিল হিমালয়ের দেশটি।

বৃষ্টি শঙ্কা আছে জেনে এমন টস জিতে নেপালকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত দলপতি রোহিত শর্মা। আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় নেপাল। বিপরীতে ফিল্ডিংয়ে শুরুতেই খেই হারায় ভারত। প্রথম ৫ ওভারে তিনটি ক্যাচ মিস করে বসেন ভারতীয় ফিল্ডাররা।

সুযোগ পেয়ে তা দারুণভাবে কাজে লাগায় নেপালি দুই ওপেনার কুশল ভুরটেল ও আসিফ শেখ। ৯.৫ ওভারে দু'জনে মিলে যোগ করে ৬৫ রান। ১০ম ওভারে এসে ভুরটেল ২৫ বলে ৩৮ করে আউট হলে ভাঙে নেপালের উদ্বোধনী জুটি। ভুরটেল থামলেও ফিফটি তুলে নিয়েছেন অপর ওপেনার আসিফ শেখ। ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

এরপর দ্রুত বেশ কিছু উইকেট হারালেও আটে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ৫৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন সম্পাল কামি। এছাড়া গুলশান ঝাঁ ২৩ ও দীপেন্দ্র সিং করেন ২৯ রান। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ৪৮.২ ওভারেই থামে নেপালের ইনিংস। ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ২৩০ রান।