পোষা হাতির আক্রমণে মাহুত নিহত

পোষা হাতির আক্রমণে মাহুত নিহত

সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নে পোষা হাতির আক্রমণে এক মাহুত (হাতি রক্ষক) নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন বিকেল ৪টার দিকে ওই ইউনিয়নের কুলাউড়া-ফুলতলা সড়কের পার্শ্ববর্তী সাগরনাল পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি জয়পুরহাটের বাসিন্দা মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা (৫০)।

জানা যায়, প্রায় এক মাস ধরে ওই উন্মাদ হাতিটি পাহাড়ে চলে গেছে। সোমবার বিকেলে মাহুত গোলাম মোস্তফাসহ আরও পাঁচ-ছয়জন মাহুত হাতিটির নিয়ন্ত্রণে আনতে সাগরনাল বিটের বাঁশমহালের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় হাতিটি মাহুত গোলাম মোস্তফাকে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় বিভিন্ন মালিকের পোষা হাতি বিচরণ করে। অনেক সময় হাতিগুলো আশপাশের ধানখেতে গিয়ে ফসল নষ্ট করে। কখনো কখনো হাতির আক্রমণে মানুষও আহত হন।

তারা আরও জানান, হাতিটি কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানের পোষা। তবে হাতিটি হঠাৎ উন্মাদ হয়ে বেশ কিছুদিন আগে বনে চলে গিয়েছিল।

সাগরনাল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রদীপ যাদব জানান, এক সপ্তাহ ধরে এই উন্মাদ হাতিটি পাহাড়ের ভেতর থেকে লোকালয়ে এসে অনেক কৃষকের ফসল নষ্ট করেছে। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনে হাতির মালিককে অবগত করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রদীপ যাদব জানান, কর্মধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানের হাতিটি উদ্ধার করতে কয়েকজন কর্মী কয়েক দিন ধরে কাজ করছিলেন। হাতিটিকে প্রায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ তার আক্রমণে একজন মারা যান।

হাতির মালিক আতিকুর রহমান আতিক জানান, হাতিটি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গোলাম মোস্তফাসহ ছয়জন মাহুত সোমবার সকালে পাহাড়ে যান। পরে একই দিন বিকেল ৪টার দিকে হাতিটির আক্রমণে মোস্তফা মারা যান।

পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সোমবার বিকেলে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান আছে।