নড়াইলে নলকুপের মধ্যে বিষ প্রয়োগ, পানি পান করে গৃহবধু অসুস্থ

নড়াইলে নলকুপের মধ্যে বিষ প্রয়োগ, পানি পান করে গৃহবধু অসুস্থ

সংগৃহিত ছবি।

ব্রিটিশ আমল থেকে বসবাস করছি এ ভিটা মাঁটিতে কখনো কোন ঝগড়া করিনি কারো সাথে একটা মেয়ে দুটি ছেলে তারা লেখা পড়া শিখে বড় হয়েছে কারো সাথে কোন মনমালিণ্য নেই আমাদের তাহলে আমাদের কে মারতে চেয়েছিলো আমি বুঝে উঠতে পারছি না কাঁন্নাজনিত কন্ঠে এমন টাই বলছে নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর পংকবিলা গ্রামের বাসিন্দা সাব কন্টাকটর নুরমোহাম্মদ মিয়া।

 

তিনি অফিযোগ করেন গতকাল রাতে তাহার বসবাসরত বাড়িতে দুবৃত্তরা নলকুপের মধ্যে বিষ জাতীয় ধাতব প্রচুর পরিমাণ নেতফল গুড়া করে এবং কপ্পুর দিয়ে রাখে নলকুপের মধ্যে এবং পরিবারের ৪ সদস্য এই বাড়িতে বসবাস করি আমরা তাই সংকেতিক চিহ্ন হিসাবে বাংলায় ৪ চিহ্ন লিখে রেখে যায় ঐ দুবৃত্তরা।

 

 

মঙ্গলবার ৫ জুন বিকালে সরেজমিনেগিয়ে দেখা যায় নলকুপটি আর নলকুপের পানি ব্যবহারকারী গৃহবধু আশুরা বেগম ও বাড়ির সবাইকে দেখতে গ্রামবাসী ভীড় জমিয়েছে।

 

 

অসুস্থ গৃহবধু আশুরা বেগম বলেন সকালে ফজরের নামায পড়ার জন্য আমি ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করে রান্নাবান্নার পানি নিতে টিউবয়েল চাপ দিতেই টাইট অনুভোত হয় অল্প একটু পানি আমি গালে নিয়ে খেয়ে ফেলি পরে বমি করতে থাকলে পরিবারের সবাই দ্রুত আমার কাছে আসে এবং সুস্থ করার জন্য কল থেকে পানি আনতে গেলে দেখে সাদা নেতফল আন কপ্পুর বিষ পানির সাথে বের হচ্ছে।

 

এটা দেখার পরে ভয়ে আমার সন্তান রা চিৎকার করে কাঁদতে থাকে এবং আমর ছোট ছেলে শামীম আমাকে নড়াইল সদর হাসপালে নিয়ে যায়।হাসপাতালের ডাক্তার আমাকে দেখে ভর্তি থাকতে বলে এবং প্রয়োজনীয় অনেক টেস্ট দেয় আমি সব টেস্ট করে হাসপাতালে ভর্তি না থেকে বাড়ি চলে আসি।

 

আমাদের পরিবারের প্রতি এত বড় শত্রুতা কে করলো আমি এর বিচার চায় বিচার চায় বলে কাঁদতে থাকে গৃহবধু আশুরা বেগম। প্রতিবেশি আসমা বেগম বলেন,সকাল বেলা পাশের বাড়ি থেকে কান্না কাটির আওয়াজ শুনে আসি এসে দেখি শামীম ওর মা কে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে হাসপাতালের নিয়ে যাচ্ছে।

 

পরে গেটের বিতর ঢুকে দেখতে পায় ওদের বাড়িতে কপ্পুর আর নেতফলের গন্ধে বাড়িতে থাকা যাচ্ছে না। নাকে উড়না পেচিয়ে টিউবয়েল দেখছে বাড়ির লোকজন সহ প্রতিবেশিরা নেতফলের গুড়া আর অংকে ৪ চিহ্ন লেখা সবাই বলাবলি করছে শামীমদের পরিবারে ৪ জন সদস্য তাদের মেরে ফেলবার জন্য সংকেতিক চিহ্ন হিসাবে এটা লিখে গেছে। আসমা বেগম আরো বলেন, যদি আশরা খালা বাদে কোন শিশু ঐ কলের পানি পান করতো তাহলে সে তো এতক্ষণে মারা যেত আমরা গ্রামবাসি এমপি স্যার ডিসি স্যার এসপি স্যারদের কাছে এ ঘটনার বিচার চায়।

 

প্রতিবেশি মুন্নি বেগম বলেন,এ বাড়ির ছোট থেকে বুড়া মানুষ প্রতিনিটি মানুষ মাটির মানুষের মতো এদের সাথে কারো ঝগড়া দেখি নাতো কারা এমন কাজ করলো এর বিচার দাবি করেন তিনি। ভুক্তভোগী নুরমোহাম্মদ মিয়ার ছোট ছেলে শামীম বলেন বড় ভাই বিদেশ থাকে আমি বাড়িতে লেখাপড়া করি আমরা কোন রাজনৈতিক বা গ্রাম্য দলাদলির মধ্যে থাকি না আমার বাপ দাদার ভিটে বাড়ি যায়গা নিয়েও কারো সাথে ঝামেলা নেই এমনি বংশ পরাম্পরায় জমি থাকলে মাপা মাপি করতে গেলে অনেক সময় সীমানা নিয়ে একটা ঝামেলা হয় কিন্তু আমাদের জমি নিয়ে একটু সমস্যা আছে কিন্তু সেটা শত্রুতা রুপ নিতে পাওে বলে আমার মনে হয় না। কে বা কাহারা এমন টা করলো সেটা বুঝে আসছে না।

 

এখন দেখি এখানে থাকা নিয়ে আমাদের পরিবার শংকিত। তিনি আরো বলেন আমার আম্মুকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দিখিয়েছি এবং সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আম্মুকে এ যাত্রায় বাচিয়ে নিয়ে এসেছি। কিন্তৃ বাড়ির সবাই ভয় পাচ্ছে তাই বিষয়টি এলাকার মেম্বর আঃ আজীজ বেগ কে বলেছি তিনি বাড়িতে এসে দেখে গেছেন।

 

পরে থানায় গেলে একজন পুলিশ অফিসার আমাকে বলেন কারো নাম না জানলে তো অভিযোগ করা যাবে না তাই আমি ফিরে এসে নড়াইল প্রেসক্লাবের একজন সাংবাদিকের সহায়তায় ওসি স্যারের সাথে দেখা করে আমাদের যান মালের নিরাপত্তার কথা ভেবে একটা সাধারণ ডায়েরী করি। আমাদের পরিবারের লোকজন তাদের যান মাল নিরাপদে রাখার আকুতি জানাতে দারে দারে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে।তাই প্রশাসনের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।