গোল মিসের ব্যর্থতা থেকে কি বেরিয়ে আসতে পারবে বাংলাদেশ?

গোল মিসের ব্যর্থতা থেকে কি বেরিয়ে আসতে পারবে বাংলাদেশ?

সংগৃহিত ছবি।

সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক। তবে সর্বনাশটা হয়ে যায় গোল করার কেউ না থাকায়। কোচের হাতে কোনো দক্ষ ফরোয়ার্ড না থাকায় ভরসা করতে হয় মোরসালিনের মতো খেলোয়াড়দের ওপর, যারা ক্লাবেই খেলার সুযোগ পান কদাচিৎ।

কুয়েতের বিপক্ষে সাফের সেমিফাইনাল ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে সহজ গোল মিস করে মোরসালিন নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তার মান। মিস করেছেন দুর্দান্ত খেলা রাকিবও। এই দুজনের মিসগুলোর যোগফলেই জয়বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ।

আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ প্রীতি ম্যাচ। দীর্ঘ ৪৪ বছর পর আবার জয়টা ধরা দিতে পারতো প্রথম ম্যাচেই। সুযোগ কাজে না লাগাতে পারায় এখন সবাই তাকিয়ে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচের দিকে। রাজধানীর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৫টায়।

 

গত তিন দিন ধরে ফুটবল অঙ্গনে আলোচনার শীর্ষে ছিল প্রথম ম্যাচে মোরসালিনের চরম ব্যর্থতার কথা। বাদ যায়নি রাকিবের ব্যর্থতার গল্পও। এমন মিস করলে তো ম্যাচ জেতা যাবে না-এ কথা কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকে ডেকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। গত কয়েকদিন টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যেও বেশি আলোচনায় ছিল মোরসালিনদের চরম ব্যর্থতাগুলো।

কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বুধবার বিকেলে অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমরা শেষ ম্যাচের জন্য শেষ অনুশীলন সেশন করলাম। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ীই সবকিছু করছি। আগামীকাল বড় খেলা। আমরা প্রস্তুত।’

 

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আমরা এখন ভালো একটা জায়গায় আছি। প্রথম ম্যাচে আমরা একটু আনলাকি ছিলাম। ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম। কাজে লাগাতে পারিনি। এ জন্য আমরা একটু হতাশ। আমি মনে করি, আবার ফিফটি ফিফটি ম্যাচ হবে। সুযোগ পেলে তা কাজে লাগাতে হবে।’