স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মশা মারতে গিয়ে তো মানুষ মরে-এমন স্প্রে করা যাবে না

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মশা মারতে গিয়ে তো মানুষ মরে-এমন স্প্রে করা যাবে না

সংগৃহিত ছবি।

পৃথিবীতে যত মশা মারার কার্যকর ওষুধ আছে, সেগুলো স্প্রে করা হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, এমন কীটনাশক স্প্রে করা যাবে না, যাতে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মরে যায়।

১৮ সেপেম্বর জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

মশা নিধন কার্যক্রমে দেশের সব মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই নিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি হলো সব মানুষের অংশগ্রহণ। যেহেতু আমাদের এখানে ডেঙ্গুর মারাত্মক বিস্তার ঘটেছে, সেহেতু অধিকাংশ এডিস মশাই জীবাণু বহন করে। এখন এই মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনগুলো কাজ করছে। জনগণও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছে, তাদরে অংশগ্রহণ আছে। কিন্তু যে পরিমাণ অংশগ্রহণ দরকার, আমার মনে হয়, সেটা হচ্ছে না।

 

মশা মারার স্প্রে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 

পৃথিবীতে যত মশা মারার কার্যকর ওষুধ আছে, সেগুলো আমরা স্প্রে করি। আর এমন কীটনাশক স্প্রে করতে পারব না, যাতে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মরে যায়। আমি যদি বাতাসেই মশাটি মেরে দিই, তাতে সব কীট-পতঙ্গ মরে যাবে। তাতে মানুষের ক্ষতি হবে। আমরা তো এটি করতে পারি না। হয়তো এমন স্প্রে করে দিতে পারব যে সারা বছর আর মশা আসবে না, কিন্তু মানুষ মরে যাবে। এ ব্যাপারে আমাদের সীমাবদ্ধ রয়েছে।

এমন একটি সময় স্থানীয় সরকার দিবস পালন করছেন, যখন ৬ শতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি নেই। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন মশক নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম ঠিকমতো হয় না। ওষুদের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এমন প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিনি এমন প্রশ্ন তুলেছেন কিনা; আমি জানি না। কারণ চিকিৎসার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আমাদের হাসপাতালগুলো দেখবে। মশক নিধনের দায়িত্ব আমাদের মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো পালন করবে। সঙ্গে সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করবেন।

তিনি বলেন,

২০১৯ সাল থেকে আমাদের এখানে ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা লক্ষ্য করছি। কয়েক বছর এটি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এ বছর মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যা আমাদের কাছে সত্যিকার অর্থে বেদনার, কষ্টের। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিচ্ছিন্ন কোনো ত্রুটি থাকলেও সামগ্রিকভাবে আমরা তদারকি করছি

তাজুল ইসলাম বলেন, গত বছর পর্যন্ত রোগটি ঢাকাসহ শহরে এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার তা গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

আমাদের দেশে মশা নিধনে সারা বছর কার্যক্রম চলে। তবে এখন চলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ। বর্ষকালের পরে তো এডিস মশা থাকে না, মানে খুবই কম থাকে। পাঁচ থেকে ১০ জন আক্রান্ত হতে পারেন মাসে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা মশা মারার কার্যক্রম চালাই।