বাংলাদেশকে ২৫৮ রানের লক্ষ্য দিলো শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশকে ২৫৮ রানের লক্ষ্য দিলো শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশকে ২৫৮ রানের লক্ষ্য দিলো শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশকে ২৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিলো শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে উঠার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে যা পাড়ি দিতে হবে টাইগারদের। অবশ্য লঙ্কানদের আটকে দিতে পারতো আরো অল্পতে, তবে সাদিরা সামারাবিক্রমারার ব্যাটিংয়ে আড়াই শ’ ছুঁয়েছে লঙ্কানদের সংগ্রহ। ক্যারিয়ার সেরা ৯৩ রান করেন তিনি।

এশিয়া কাপে টস ভাগ্য বেশ ভালোই সায় দিচ্ছে সাকিবের। শনিবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামেও টসে জেতেন তিনি। এটি নিয়ে আসরে তার টানা চার ম্যাচে টস জেতা। তবে আগের তিনবার ব্যাটিং নিলেও আজকের সুপার ফোরের ম্যাচে টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান সাকিব। যেখানে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৫৭ করে শ্রীলঙ্কা।

বল হাতে প্রথম ওভারেই লঙ্কানদের চমকে দেন তাসকিন আহমেদ। পাথুম নিশানকার বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। তবে ৩৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে শ্রীলঙ্কার। দিমুথ করুনারত্নে ফেরেন ১৭ বলে ১৮ রান করে। ষষ্ঠ ওভারে হাসান মাহমুদের শিকার হন তিনি।

এরপর নিশানকা ও কুশল মেন্ডিস মিলে ধরেন হাল। দু'জনের জুটিতে আসে ১০৮ বলে ৭৪ রান। যদিও দুটো সুযোগ দিয়েছিলেন তারা। তবে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ছেড়েছেন মুশফিক, শামীম ক্যাচ ছাড়েন সীমানায়। যদিও প্রত্যাশামতো রান বাড়াতে পারেনি শ্রীলঙ্কা, সাকিব-নাসুমের দারুণ বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণেই থাকে রানের গতি।

তবে তিন অংক ছোঁয়ার পর টাইগার বোলাররা চেপে ধরেন লঙ্কানদের। ১ উইকেটে ১০৮ রান থেকে পরের ৫৬ রান তুলতেই আরো ৪ উইকেট তুলে নেয় তাদের। যেখানে বড় অবদান শরিফুলের। তার জোড়া আঘাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় বাংলাদেশ। পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। ফেরান থিতু হওয়া নিশানকা ও কুশল মেন্ডিস, উভয়কেই।

প্রথমে পাথুম নিশানকাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন, এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেছেন তাকে। ফেরার আগে ৬০ বলে ৪০ রান করেন নিশানকা। পরের ওভারে এসে সদ্য ফিফটি করা মেন্ডিসকে সাজঘরের পথ দেখান বাঁ হাতি এই পেসার। আউট হবার আগে ৭৩ বলে ৫০ রান করেন মেন্ডিস।

এরপর অল্প রানের ফিরেছেন আসালাঙ্কা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। আসালাঙ্কা ১০ রান করলেও সিলভাকে ৬ রানের মাথায় উইকেটের পেছনে মুশফিকের ক্যাচ বানান হাসান মাহমুদ। আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে ছিলেন তাসকিন। ৩৭.১ ওভারে ১৬৪ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

সেখান থেকে দলকে টানেন সামারাবিক্রমা। চাপের মুখে দারুণ ব্যাট করেন এই ব্যাটার। পশানাকে নিয়ে গড়েন ৫৮ বলে ৬০ রানের জুটি। ৪৭তম ওভারে হাসানের তৃতীয় শিকার হবার আগে শানাকা করেন ৩২ বলে ২৪ রান। তবে বিক্রমা খেলতে থাকেন বিক্রমের সাথেই। শেষ বলে এসে আউট হন ৭২ বলে ৯৩ রান করে।

৩টি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। জোড়া উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। উইকেট না পেলেও দারুণ বল করেন নাসুম আহমেদ। বলা যায়- তার সৌজন্যেই চাপে থাকে লঙ্কানরা। ১০ ওভারে মোটে ৩১ রান দেন তিনি।