হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সংকট, বিপাকে রোগীরা

হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সংকট, বিপাকে রোগীরা

সংগৃহীত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিট সংকটে বন্ধ রয়েছে ডেঙ্গু পরীক্ষা। এতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে গিয়ে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে রোগীদের।

রোগীর স্বজনরা জানান, ডেঙ্গুর বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ হাসপাতালে আসছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত সন্দেহে চিকিৎসকরা পরীক্ষা দিলেও রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। যেখানে সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা ফি ৫০ টাকা, সেখানে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খরচ হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা।

অন্যদিকে ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্যও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কোনো সেল-কাউন্টার যন্ত্র। ফলে প্লাটিলেট পরীক্ষা করতেও রোগীদের গুনতে হচ্ছে অনেক টাকা। যা সাধারণ রোগীদের সামর্থের বাইরে। তাই সরকারি হাসপাতালেই ডেঙ্গুর সকল পরীক্ষা করার জন্য ব্যবস্থাগ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।

ডেঙ্গু রোগীর বাবা ব্যবসায়ী রিপন হোসেন জানান, তিন-চার দিন আগে তার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে ডাক্তার ডেঙ্গু পরীক্ষা দেন। কিন্তু হাসপাতালে কিট না থাকায়, বাইরে পরীক্ষার জন্য যেতে হয়। একটি বেসরকারিতে পরীক্ষা করে খরচ দিতে হয়ে ২ হাজার টাকা। সাধারণ মানুষের পক্ষে এত খরচ দিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা সম্ভব না বলে জানান তিনি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা মহাবুল হক বলেন, গেল সপ্তাহ থেকে হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট নেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে, কিন্তু এখনও কিট পাইনি। বাইরে পরীক্ষা করাতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও খরচ বেশি হচ্ছে।

এর আগে প্রতিদিন এ হাসপতালে অর্ধ শতাধিক ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হতো বলেও জানান তিনি।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবদুল আল মারুফ বলেন, কিটের জন্য সিভিল সার্জন অফিসে জানানো হয়েছে। কিট পেলেই ডেঙ্গু পরীক্ষা শুরু হবে। তাছাড়া ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে একটি সেল-কাউন্টার মেশিন বসানোর কথাও জানান তিনি।