চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতি মামলায় ১২ জনের কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতি মামলায় ১২ জনের কারাদণ্ড

ফাইল ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতি মামলায় ১২ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাসুদ আলী এ রায় প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-জীবননগর উপজেলার নিধিকুণ্ডু গ্রামের কবির হোসেন, করচাডাঙ্গা গ্রামের সোলেমান হক, বকুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন, রহম আলী, আরজ আলী, ফারুক হোসেন, বকুল মিয়া, মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল হান্নান, একই উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের তবি মিয়া এবং ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খাঁ পুরন্দপুর গ্রামের মাসুদ রানা। এদের মধ্যে আব্দুল হান্নান নামে এক আসামি পলাতক রয়েছেন।

মামলায় খালাস পেয়েছেন-করচাডাঙ্গা গ্রামের আখের আলী, আব্দুল খালেক, হায়দার আলী ও ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের সোহেল রানা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৭ এপ্রিল গভীর রাতে জীবননগর উপজেলার নিধিকুণ্ডু গ্রামের চান মিয়া ব্যাপারীর ছেলে নুরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাণ্ডব চালায় অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন মুখোশধারী ডাকাত দল। এসময় তার ঘরে থাকা স্টিলের বাক্স থেকে নগদ ২৩ হাজার টাকা, বিছানার নিচ থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা, তার স্ত্রীর কানে থাকা ১০ হাজার টাকা মূল্যের পাঁচ আনা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের দুল এবং তার চাচাতো ভাই কবির হোসেনের বাড়ির শোকেস থেকে নগদ ৭ হাজার ৩০০ টাকা ডাকাতি করে তারা।

পরে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল ১৭ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মহব্বত আলী। পরে ১৭ জনের মধ্যে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে ওই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন জানান, পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফজলে রাব্বী বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে