ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান': প্রস্তুত নৌবাহিনীর ২৫ জাহাজ, বিমান ও হেলিকপ্টার
ছবিঃ সংগৃহীত
ঘুর্ণিঝড় ‘আম্পান’ পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিন স্তরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নৌবাহিনী। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌঅঞ্চলে নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ সমুদ্র এবং উপকূলীয় এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় অনুসন্ধান কাজের জন্য নৌবাহিনীর দুটি বিমান (মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট) এবং দুটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি = খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় দূর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রেয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য প্রথমে নৌবাহিনীর দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও দুটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নৌবাহিনী জাহাজসমূহ উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ সহায়তা কাজ পরিচালনা করবে। প্রাথমিকভাবে এ উদ্ধার কাজের জন্য বানৌজা সমুদ্রজয় ও সমুদ্র অভিযান কক্সবাজার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায়, বানৌজা গোমতি মংলা ও তৎসংলগ্ন সাগর তীরবর্তী এলাকায় নিয়োজিত থাকবে।
অন্যদিকে বানৌজা সুরভি চট্টগ্রামের বহিঃনোঙ্গর থেকে মহেশখালি এলাকায়, বানৌজা বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, প্রত্যয়, সংগ্রাম ও প্রত্যাশা বহিঃনোঙ্গর থেকে চট্টগ্রামের পোতাশ্রয় এলাকায়, বানৌজা দূর্জয়, নির্মূল ও শাপলা চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায়, বানৌজা অতন্দ্র সন্দীপ ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায়, বানৌজা অপরাজেয় হাতিয়া এলাকায় নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে কাপ্তাই নৌঘাটি বানৌজা শহীদ মোয়াজ্জম থেকে থেকে নিয়োজিত থাকবে।
উপকূলীয় জেলা ভোলা, নোয়াখালি, ফেনী ও লক্ষীপুরে নৌবাহিনীর এলসিইউ-০১ এবং এলসিইউ-০২, বরিশাল ও আশেপাশের এলাকায় বানৌজা হাতিয়া, সন্দীপ, শাহ পরাণ এবং শাহ মখদুম, বরগুনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা ও ঝালকাঠির অভ্যন্তরীণ র“টে নৌবাহিনীর এলসিটি-১০৪ এবং এলসিটি-১০৫ এবং কর্নফুলী চ্যানেলে বানৌজা খাদেম নিয়োজিত থাকবে।
এছাড়া পরিস্থিতি বিবেচনায় দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরী চিকিৎসা সহায়তার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে খুলনা নৌ অঞ্চলের দুটি জাহাজ সাতক্ষীরা ও দুবলার চর গমনের উদ্দেশ্যে খুলনা নৌ জেটি ত্যাগ করেছে। সেইসাথে সড়কপথে ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিমসহ ২৪ জন নৌসদস্যের একটি টিম দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কার্যে সহায়তার জন্য সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে গমন করেছে। এছাড়া বরিশাল, বরগুনা ও পটুয়াখালীতে টহলরত তিনটি জাহাজকে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী প্রাথমিক রেসপন্স জাহাজ হিসেবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।